দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ভিসা পেলাম হাতে
যাত্রা হলো তাই শুরু ইন্ডিয়ার পথে,
ভাইসাব-মুসা মামা হলো ভ্রমন সাথী
আমরা ওপার বাংলার অতিথি।
ওপারের কলকাতা আদতে জ্বরাজীর্ণ
সোডিয়ামের আলোতে পুরোটা ভিন্ন,
রাস্তার গাড়িগুলো কতো সুশৃঙ্খল
সিগনাল মেনে চলার এটাই সুফল;
ট্রামগুলো চলছে এক পাড় ধরে
কোন গাড়িই চলেনা লেনের বাইরে,
সিএনজি চোখে পড়া একেবারেই দুষ্কর
বুড়ি হলেও যেন যুবতী-কলকাতা শহর।
নিজ কাজে ব্যস্ত সাবাই-
দিনের আলোতে
সন্ধ্যা হলে সব দাদাই
ডুব দেয় শহরের বার গুলোতে,
মদ্যপান অনুমোদিত দেখেছি আমি
পান করে তাই কেউ- করেনা মাতলামি,
বিয়ারের সাথে চুটিয়ে চলে ললিপপ
কলকাতার অলি-গলিতে বার ও বিয়ার শপ।
জিনিস পত্রের দাম অনেক কম- এপারের তুলনায়
এমন কিছু পাবে যা মিলে কল্পনায়!
বার ডান্সে দেখা মিলবে সুন্দরী ললনা
নিউমার্কেটের লেনগুলোতে মেসেজ-পার্লারও কম না!
গঙ্গার তীরে মিলেনিয়ামে -
যেন কপোত-কপোতীর মেলা
স্ট্রিমার থেকে দেখলে-
যেন হাওড়া ব্রীজে বর্ণীল আলোর খেলা।
ধর্মতলার মোড়ে মাটির কাপে চা আর
হাতে বানানো লাচ্ছি,
না খেলে আধুরা হতো কলকাতা ভ্রমন আমার
এ বাত তো সাচ্চি,
হার্টফোর্ড লেনের নাস্তা আর গোলগাপ্পা
সব মিলিয়ে কলকাতা - হারিপ্পা।