শ্রমিক
- মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
কত কত যুগ চলে গেলো।
কত অট্টালিকা দিয়ে নগর গড়ে উঠলো
আন্দোলন হল, হল কতো বিদ্রোহ।
শ্রমিকের অধিকার এলো না.। ।
আমাদের দেশে,
কত কোম্পানির মালিক হল দরবেশে।
কত উন্নয়ন হল রাষ্ট্রের।
অধিকার আদায় হলো না শ্রমিকের।
যখন কোন দূর্ঘটনা হয়।
কত অধিকার দিবে, আধা দেয়া হয়।
শ্রমিক লম্বা ঢেকুর তোলে শান্তির।
ভাবে, এইবার বুঝি অধিকার আদায় হয়ে গেল।
দিন মাস না যেতে,
সব কিছু হয়ে যায় এলোমেলো।
ও আমার সোনার ছেলেরা।
রোদে দগ্ধ হল।
আগুনে জ্বলসে গেল।
দেশের উন্নয়নে রক্ত ঘাম দিলো।
কত অগ্নিকাণ্ডে, বিস্ফোরণে।
শ্রমিকের জীবন গেল অকারণে।
চারদিকে মানুষের মুখে শুনি অধিকার অধিকার।
শ্রমিক পেলো না অধিকার, অপরাধীর হলো না বিচার।
চারদিকে শুধুই, গরীবের হাহাকার।
গণতন্ত্র এলো, সমাজতন্ত্র গেলো।
কত আন্দোলন হল রাজনৈতিক মাঠে।
কত মানুষ নেতা হল,
কত অঙ্গিকার শুনিয়ে গেলো।
মানুষের অধিকার এলো না।
শ্রমিক অধিকার পেলো না।
চট্রগ্রাম ঢাকা আর গাজিপুর।
কারখানা পুরে ছাই হল,
শ্রমিকের লাশ হল কয়লা ।
তবু দূর হলো না , শোষক মালিক শ্রেণীর মনের ময়লা।
আগুনে জ্বলে, পানিতে ভাসে।
মজলুম শ্রমিকের ঘাম আর রক্ত।
তবু বাংলার জমিনে হলোনা অধিকারের আইন শক্ত।
মালিক শ্রেণী পান করিলো শ্রমিকের লাল রক্ত।
কত নেতা এলো গেলো ,প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলো অধিকারের।
কত কত আইন তৈরি হল রাষ্ট্রের।
বিবেক পরিবর্তন হয়নি শোষক মালিকের।
শ্রমিক গড়ে তুলেছে শিল্প।
পৃথিবীতে এসেছে উন্নয়ন।
শিল্প বিপ্লব এসেছে পৃথিবীর বুকে।
সবাই সুখে আছে।
কুলি, মজুর শ্রমিক, তারাই নাই সুখে।