স্নিগ্ধতা
++++++
সকালে খোলা ছাদের কোণায়।
দাঁড়িয়ে ছিলে একাই ।
কুয়াশা ঝরছিল খোপায় ।
প্রকৃতি ও বুঝি শান্তি নিচ্ছিল
       তোমার গভীর স্নিগ্ধতায়।
তোমার স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় ।।
প্রেমময় এক মুহূর্ত ছিল।।
আজ সকালটা তে ।

এমন সময় পূর্বে ছিল কি?
শীতের সকাল তো অন্য কোথাও ছিল।
এই সকালের মত স্নিগ্ধ ছিল কি?

কুয়াশা ঝরা  সকাল।
তোমার একটা সকাল।
আমার শ্রেষ্ঠ সকাল।
তোমার ছোঁয়ায় মুগ্ধ সকাল।

কুয়াশা রা কি কানাকানি করছিল?
কিছু বলছিল কি তারা ?
চুপিসারে তোমার কানে।
কি বলছিল আকাশ?
তুমি এত স্নিগ্ধতা কোথায় পেলে?
এই কথা বলছিল কি?

এই সকলকে তুমি যা দিলে
কোন কবি কি পারবে দিতে তা?
কোন কল্পনা কি দেখেছে তা।
এই আকাশকে'সকালকে।
কুয়াশাদেরকে  যে স্নিগ্ধতা দিলে
তা কি কেও পাবে দিতে??

তাইতো সূর্যি মামা।
দেখছিল তোমায় কুয়াশার আড়াল থেকে।
সামনে আসতে তার লজ্জা হচ্ছিল।
হয়তো বা তার হিং সে হচ্ছে।
তোমার স্নিগ্ধতা দেখে।

শুভ সকাল জানাল সেও।
কুয়াশার  আড়ালে থেকেই।
সামনে আসতে তার বড্ড ভয়।
কি যেন কি হয় ।।

চারদিক স্নিগ্ধ হয়েছে আজ।
শুধু তোমার ছোঁয়ায়।

রাত জাগা প্রকৃতি।
স্নিগ্ধ এই সকাল।
সবাই মুগ্ধ তোমাকে পেয়ে।

সেই সাইবেরিয়ান কবিও দেখেছে।
যখন সে চোখ খুলেছে।
গভীর ঘুম শেষে।

সেই কবিও মুগ্ধ হয়েছে।
বলেছে সেও শুভ সকাল।
তোমার রূপে মুগ্ধ কৃষ্ণাঙ্গ যুবক।
মরুভূমির রাখাল বালক।

সকালের পিচ ঢালা রাস্তা।
তার ওপরে যারা হেঁটেছে এতকাল।
তারা সবাই মুগ্ধ এই সকাল দেখে।
তোমার ছোঁয়ায় স্নিগ্ধ এই সকাল।।

তোমার মাঝে কি আছে?
কি নেই অন্য কারোর মাঝে?
তুমি কে এই সকালে ছাঁদে দাঁড়িয়ে?
হাত দুটো আছ বাড়িয়ে।