প্রাণের কবিতা
- মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন -
আমিও সেদিন সেই জনসমুদ্রে ছিলাম।
আমি ছিলাম লাখো দৃষ্টির মাঝে।
মানুষের মুখের ভাষা হয়ে।
আর লাখো প্রাণের জিজ্ঞাসাতে।
কবির আহ্বানে যেখানে মানুষ ছুটে এসেছিলো।
একটি বাক্য কবির মুখে শুনতে।
না জানি কত বছরের তৃষ্ণা ছিলো চোখে।
প্রাণে ছিলো গভীর আবেগ।
আর রক্তে ছিলো মুক্তির বার্তা।
আমিও সময়ের সাথে।
সেই সময়ে ছিলাম প্রেরণা হয়ে।
জনসমুদ্রের ভিড়ে, ।
মানুষের প্রাণের আকুতি হয়ে।
উত্তাল মহাসমুদ্রে একটাই চাওয়া ছিলো।
ছিলো সেই বাক্য শোনার আকুতি।
সেই খোকা, যার জন্ম হয়েছিলো মানুষের জন্য।
যার জন্ম হয়েছিলো বাঙালির মুক্তির প্রয়োজনে।
তার বাণী শুনতে হয়েছিলো জনসমুদ্র।
সেইখানে ছিলাম আমি,
সময়ের সাথে, মানুষের সাথে।
কবিতার সাথে, কাব্য জগতে।
সেই মহান কবিতার সাথে।
যে কবিতা শুনতে এসেছিলো লাখো জনতা।
মহান সে কবি।
বিদ্রোহী সে কবিতা।
যে কবিতার শক্তিতে এসেছে স্বাধীনতা।
আমিও ছিলাম সেই কবিতার শব্দে শব্দে।
প্রতিটা অক্ষরে, ভাষার স্পর্শে।
এই দেশের মুক্তির বার্তা নিয়ে।
এসেছিলো যে কবি।
যে মহান আত্মা,
প্রাণের সাথে মিশে ছিলো আমাদের।
সে আর কেউ নয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
সে কবিতার ভাষায়।
প্রতিটি লাইনে,
ছিলো আমাদের মুক্তির চেতনা।
আর ছিলাম আমরা,
ছিলো আমাদের স্বাধীনতা।
সে কবিতা ছিলো, আমাদের প্রাণের কবিতা।
আমাদের মুক্তির কবিতা।
আমাদের পরিচয়, আমাদের অহংকার।
আমরা মরতে চাই বার বার ।
জাতিকে বলতে চাই।
এমন কবিতা পৃথিবীতে নেমে আসুক বার বার।
আবার সময় এসেছে যুদ্ধে যাবার।
দূর্নীতির বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, ।
সময় এসেছে জাতিকে মুক্ত করার , আবার।