আমরা এতটুকু সবাই জানি যে কবিতার বাক্য অর্থ কবিতার ভাবার্থ নয় ।।কবিতার বাক্য যা বুঝাচ্ছে কবিতা তা বুঝাবে না এটাই স্বাভাবিক।।। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
কবিতাতে দেখতে পাই ।।শেষের কবিতা গ্রন্থে এমন
কবিতা আছে ।।।
জীবনানন্দ দাশ ।।কবিতাতে চীল "শকুন আর
শালিকের কথা উল্লেখ ।।।প্রেমের দৃশ্যতেও অন্য
শাব্দিক দৃশ্য তুলে ধরেছেন।।।
মূল কথা হল
আমরা একটা কবিতা পাঠ করি।।তার পর শব্দ ভান্ডার
এর বারটা বাজিয়ে বাক্য অর্থ বুঝি।।।
তার পর কবির চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করি।
এটা ভাবিই না কবি কবিতাতে কি বুঝাতে চাইল।।
কেন বুঝাতে চাইল ।।
কি তার উদ্দেশ্য।।
জীববনান্দের কবিতা পড়ে এক ভাই বলেছিল ।।
কবির মাথায় ভিমরুতি ছিল।। সে ভালবাসার মাঝেও শালিক দের কল্পনা করে।।
আর শকুনদের নিয়ে আসে কবিতাতে।।।
এই হল পাঠকের কবিতা পড়া।।। তবে কবির কি বা করার থাকল।।
কবি তো আর ঘরে ঘরে গিয়ে
শব্দ আর বাক্য বাজদের তার মনের
কাব্যিক ভাব বুঝাতে যাবেন না।।
তা এখন আর সম্ভব নয়।।।
তবে আমাদের বদলাতে হবে।।
নজরুলের বেশ কটি কবিতার লাইন নিয়েও শুনেছি
বহু বাক্যগত ব্যাখ্যা।। কি করার তারা বাক্য ও কবিতা
বুঝে না।।
শুধু পড়ে
ঐ দেখা যায় তাল গাছ।
ঐ আমাদের গাঁ ।