কবিতাতে দেখো কি লেগে আছে।
কি যেনো বলছে কবি।
কবি তো সে ছিলো রবী ঠাকুর।
তার স্থান দখলে রাখছে এখন আধুনিক কবি।
তারা বাজারে করছে চিৎকার।
কবিতার বাজারে বুঝি আগুন লেগেছে?
কে লাগালো আগুন?
কেউ নতুন করে প্রবেশ করেছে,
কেউ একজন বলল।
আরেকজন এগিয়ে গেলো সামনে।
পাড়ার বৃদ্ধ বলে কি চায় সে?
সে কি চায় এইখানে?
কেউ একজন বলল।
সে কবি হতে চায়।
সে চায় অনেক পুরস্কার দিয়ে ভরে থাক তার ঘর।
সে চায় ইতিহাস জানুক তাকে।
কেউ একজন বলেই বসলো।
সে নতুন কিছু নিয়ে এসেছে।
তাই সবার এতো কৌতুহল।
বাংলা, ল্যাটিন সাথে মিশিয়ে কিছু ইংরেজি।
আরবী হরফ বাদ যাবে কেন?
তার নাম কবিতা।
ভাষাটা না হয় হবে বাংরেজী।
তাকে আমরা মহান কবি বলতেই পারি।
রবী ঠাকুরের চাইতেও সে মহান।
কাজী নজরুল হতেও সে মহান।
সে তো স্থান পাবে লুবর জাদুঘরে।
তাকে দেখতে সবাই করবে ভীর।
ভিত থাকবে সকল বাঙালি।
বলবে দেখো দেখো কে এসেছে।
কবিতা নাকি বানের জলে ভেসেছে।
দেখুক বাঙালি কবিতাতে কি এসেছে।
কবিতা নাকি বাউণ্ডুলে রা লেখে?
এখন দেখুন দিব্যি কবিতা লেখছে আমাদের আধুনিক কবি।
বাংলা, ল্যাটিন , জার্মান, ফ্রান্স, থাই, ইংরেজি মিশিয়ে একাকার।
বাংলা একাডেমী হয়তো কল্পনাও করেনি এমন শব্দ।
এমন বাক্য হতে পারে বাংলা ভাষাতে।
সে ভাষা তিনি কবিতাতে যোগ করলেন।
দেখুক বাঙালি জাতি।
টাকা থাকলে কবি হয়।
নেতা হয়, রাজা হয়,
সব হয়, সব হতে হবে।
এর পর সবাই শুধু দেখবে।
দেখার শেষ নাই।
শিক্ষা গ্রহনের শেষ নাই।
নাটক চলবে, চলতে দাও।
জনতা সব সময় দর্শক থেকেছে।
আজো তারা দর্শক।