তোমরা কি আমাদের চোখে দেখো না?
কত ইতিহাস আছে লুকিয়ে।
কত ব্যথা সেখানে, রক্তের সাথে, জলের মতো।
শুকিয়ে আছে,  রোদের তাপে।


চারদিকে নরপিশাচ ,  
দেখো না তুমি?  
ধর্ষিত আজ আমাদের স্বাধীনতা ।
চারদিকে পাহারা দেয় পিশাচেরা,  
কথা বললে,  গলা টিপে ধরে।  
চোখে এখন শুধু ক্ষোভ,  
গলা দিয়ে বের হয়না চিৎকার।


আমাদের চোখে তুমি দেখেছো?
কেন সেখানে তুমি বিদ্রোহ দেখোনি?
দেখোনি হাজার চোখ, কি বলতে চায়।


হাজারো চোখে,  হাজারো আওয়াজ ।
মানুষের নাই কোন কাজ।
বেহায়ার নাই কোন লাজ।
দুর্নীতি  করেও  ক্ষান্ত হয়না দুর্নীতিবাজ।


তুমি আমার চোখে দেখো কবি।
আমার চোখে তুমি আগুন পাবে।
আমার চোখে তুমি রক্ত দেখতে পাওনা?
কেন কবি কেন?

আমাদের চোখে দেখ।
সেখানে হাজার বছরের  ইতিহাস পাবে।
জাগ্রত কবিতা পাবে,  
বিদ্রোহী কবিতা, তোমাকে করবে বিখ্যাত।

তবে কেউ এসে।
আটকে ধরতে পারে তোমার কলম।
ধরতে পারে তোমার গলা চেপে।
তুমি কি ভয় পাবে?
আমাদের চোখে তো সেটা ছিলোনা।
ছিলোনা একাত্তরে,  ছিলোনা কোনকালে।

কবি তুমি কেন ভয় পাও।
আমাদের চোখে তাকাও।
সাহস পাবে,  ধৈর্য পাবে।
ভয় পালিয়ে যাবে।
তোমাকে দিবে হাজারো ইতিহাস।

আমাদের চোখে তাকাও।
কি দেখতে পাচ্ছ সেখানে?
শত চোখের জ্বলন্ত আগুন?
অধিকারের আত্মহত্যা,বস্ত্রহীন স্বাধীনতা?


দেখতে পাচ্ছো না?  
এই চোখে তাকাও।
হাজারো চোখে আছে,ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন।


বেকার যুবকের চোখ।
ঘামে ভেজা,  ক্লান্ত  পিতার চোখ।
ধর্ষিতা নারীর  শান্ত  চোখ।

তাকাও ওই চোখের দিকে।
কি দেখতে পাও?
কি আছে ওইখানে ?



চারদিকে শত শত ছাত্র জনতা।
চাচ্ছে কথা বলার স্বাধীনতা ।
কেপে উঠেছে শহরে  রাস্তা ।
স্লোগানে স্লোগানে চারদিকে আজ উল্লাসিত জনতা।

তুমি দেখোনা?
তুমি ওদের চোখে দেখোনা?
কি দেখতে পাও?  কি আছে তাদের চোখে?