সবাই বলে ভাঙো, ভাঙো, কেউ কি কিছু ভাঙে ?
ষাটের দশক বগল বাজায় বউ কেড়ে নেয় লাঙে ।
ঢাকা শহর চাকার শহর টাকার শহর ভাই
বাস পুড়িয়ে লাশ পুড়িয়ে খুশির সীমা নাই ।
হপ্তা দুদিন হরতালেতে হাল্কা চালে হাঁটা
কেউ রেঁধে খায় ঝাল-খিচুড়ি কারো কপাল ফাটা ।
রিক্সাঅলার পাম্প ছেড়ে দাও ছোড়ো বোমার ঢিল
ধোঁয়ার মাঝে ডিসকো নাচো দোকানপাটে খিল ।
এই দেশের এক নাগর কবি রাজরাজরা চেখে
যখন দেখে নড়ছে গদি, বিপ্লবী গান লেখে ।
ছোকড়া কিছু পদ্যকারের মধ্যমণি তিনি
চতুর্দিকে ফেউ জুটেছে চায়ের কাপে চিনি ।
কুল্লে সারা জগৎটাকে বকবাজিতে জিতে
মেকি সোনার দিনার ঢেলে পারলো কিনে নিতে ।
এখন দেখে সওদাপাতি যা ছিল তার ঘাটে
কালের তুফান দেওয়ের মতো জিহ্বা দিয়ে চাটে ;
খ্যাতির কলস উল্টে গেছে রস গড়িয়ে যায়
দেশটা বড়ো অকৃতজ্ঞ মাছি ভনভনায় ।
মাছি মাছি মাছিরে
সুড়সুড়িতে হাঁচিরে ।
(কাব্যগ্রন্থ : একচক্ষু হরিণ । প্রথম প্রকাশ : ১৯৮৯।)