পক্ষীকুলে জন্মে ওরে, তুই শুধু উড়াল শিখলি না।
এগারো বছর পর দেখা হলে নগরের রাস্তায় সেদিন
বললেন আমাদের পাড়াগাঁর ঘনশ্যাম পন্ডিত মশায়।
এখনো স্মরণ হয়, ঈগলস্বভাব তোর পূর্বপুরুষেরা
ইচ্ছার সামগ্রী সব বিঁধে নিতো বিজয়ী নখরে
তাদের ওড়ার শব্দে ছিঁড়ে যেতো ভয়ঙ্কর হাওয়ার ধিক্কার
এবং এখনো দেখি কেউ কেউ, তোর সব বাল্যবান্ধবেরা
একে একে উঠে যাচ্ছে অভ্রভেদী অশথ চূড়ায় -
তুই শুধু পারলি না, গোত্রছাড়া নখদন্তহীন;
ওরে, গগনভেরীর
বংশের গৌরব অই ঢেকেছিস বাদামি খদ্দরে?
ঈগলের বাচ্চা হয়ে কোকিলের মতো চক্ষু তোর
কী করে রঙিন হলো, এখনো বুঝি না।
এখনো বুঝি না আমি
অনেক নখের লোভ ত্যাগ করে কোনো এক স্বর্ণশলাকায়
কখনো কি সময়ের বুকে গাঢ় ইচ্ছামতো চিহ্ন দেয়া যায়?
এতেক বলার পর থামলেন আমার শিক্ষক সেই
রসিক ব্রাহ্মণ।
প্রশ্ন শুনে নত শিরে পদস্পর্শ করে বললাম -
সীতার উদ্ধারে ব্যর্থ, রাক্ষসের অস্ত্রাঘাতে ছিন্ন আমি
স্যার এক আহত জটায়ু।