তাকান, আকাশে অই অন্ধকার নীলের দ্যুলোকে
এমন তারার কণা, যেন কোন স্থির বিশ্বাসীর
তসবিহ্ ছেঁড়া স্ফটিকের দানা । শূন্য সৌরলোকে
পরীর চাঁদের নাও দোল খায় । অলীক নদীর

অস্থির পানির আভা স্পর্শ করে দূর বাতাসের
অসীম সাহস ; আর ছুঁয়ে যায় পৃথিবীর ঘুম
অলক্ষ্য তড়িতে কাঁপে যে কঙ্কাল কালপুরুষের
তারি মন্ত্রে মুগ্ধ হয়ে তোলা যাবে আকাশ কুসুম ?

আবার মাটির কাছে যখন ফেরাবো চোখ আমি ;
অরণ্যে পর্বতে বৃক্ষে কাকে পাবো, কবি না সুন্দর--
নাকি চিত্রকর তিনি--বুঝি না তো ; এত দ্রুতগামী
তারি সে অশ্ব চলে পার হয়ে প্রশ্নের শহর
শুনি না হ্রেষার ক্লান্তি, অই...অই...বিরল বাদামি
কার দেহ পিঠে নিয়ে ঢাকা দেয় শোকের কাপড় !


(কাব্যগ্রন্থ : কালের কলস । প্রথম প্রকাশ : পৌষ ১৩৭৩ ।)