এখন তোরা তুঙ্গ করে তোল
ঊর্ধ্বে ধর মাংসের গোলাপ
আঘাত থেকে আসবে ছেলেগুলো
নাভির নিচে উষ্ণ কালসাপ।
শীর্ণকায় দীর্ণ ছেলেগুলো
হাতড়াবে কি ঠান্ডা কার্পেট?
ক্ষুধার কাছে ভালোবাসার কাছে
বিছিয়ে দে লো সরল তলপেট।
উচ্চে আজ পুচ্ছ তুলে দিয়ে
চিহ্নগুলো আলোর কাছে ধর,
রুগ্ন যেন রাস্তা খুঁজে পায়
শরীরে যার আদিম কালাজ্বর।
সিগ্রেটের অগ্নিমুখে যারা
ছিদ্র করে পন্ডিতের লিপি,
পেন্সিলের শক্ত মুখ দিয়ে
উল্টে দেয় কনিয়াকের ছিপি;
সূক্ষ্ম কোনো দুঃখ বোধ থেকে
আল্লা যার আত্মা গড়লেন
ক্ষুব্ধ সেই দুঃখী তরুণেরা
বিক্ষোভের আওয়াজ তুলছেন।
তাদের তরে শয্যা ঝেড়ে, আজ
সাজিয়ে রাখ কৃষ্ণ কেশদাম,
গন্ধ আর ঘামের পরিণামে
ঢালুন তারা ক্লান্ত মহাকাম।
পাত্র আর মাটির ভাঁড় যত
সরিয়ে রাখ, বাঁচিয়ে রাখ দূর
মত্ত সব ক্ষত ও বিক্ষত
নষ্ট আর ভাঙার বাহাদুর।
আসবে ওরা ক্ষুধার কাছ থেকে
রক্ত চোখ ভক্ত ভাই সব,
কুত্তাদের আর্ত চিৎকারে,
শুনবো সেই দীপ্ত কলরব।