আমাদের দুঃখকে আমরা ফোটাতে পারি না, নদী
ফোটায় যেমন তার ঢেউগুলি ব্যথার তড়িতে,
ফেনার ফোঁপানি যেন ছোঁয় এসে পাড়ের হরিতে,
পারি না তেমন করে আমরা তো স্পষ্ট কিছু,যদি
পারতাম, যেমন রজনীগন্ধা রাত্রির বাতাসে
নতুনত্ব দেয় কিছু-প্রত্যহই পারে গন্ধ দিতে
যেমন পেঁচার ডাক শৈশবের ভয় নিয়ে আসে,
রাতের হলদে পাতা ঝরে যায় শীতের গতিতে!
মানুষের শীল্প সে তো নির্বোধের নিত্য কারিগরি
রুমালের আঁকা দাগে রঙিন সুতোয় ফুল তোলা,
সাপের অলীক চিত্রে নির্বিষ সাজানো কালো দড়ি,
কাদার মূর্তিতে কারো সাধ্যমত আঁটা পরচুলা।
আমরা যা করি, গড়ি, ইচ্ছেমতো আঁকি ও ফোটাই
কাগজে, পাথরে কাঠে, রঙচঙ দ্বিতীয় শ্রেণীর
সেতারে নিবিষ্ট হয়ে যতটুকু উত্তাপ উঠাই
কমদামি কারুকর্ম সবি যেন! বেশ্যার বেণীর
নকল গোলাপ গোঁজা পাশবিক অশ্লীল রাতের
গন্ধহীন গুমোটে মিলানো। তাই হাতুড়ি ছেনির
ফেরাবার সাধ্য নেই রুচি এই অসিদ্ধ হাতের।