বিষন্ন চোখে দেখেছিলাম তোমায়, তুমি থেকে যাও না আমার অন্তরায় ।
তোমাকে পেয়ে ভেবেছিলাম অসীমে, ভালোবাসিলাম অন্তর দিয়ে ;
সেই তুমি কি-না ছেড়ে গেলে আজ অন্তহীন আনমনে !
তোমাকে খুঁজে পেলাম না, হারালে কোন অজানায় !
আমাকেও কি তুমি খুঁজো না ?
রোদেলা দুপুরে কথা দিয়েছিলে একসাথে থেকে যাবে !
আমি বদ্লায় নি ফিরে পেতে চাইলেও,আমায় পেয়ে যাবে !
একটা জ্যোচ্ছনা রাত পোহালো , তবু তোমার দেখা মিললো না ।
সেই জ্যোছনা রাতের মায়া আমার এখনো কাটে না ।
বলো তুমি আসবে কি আবার — কাল রাতের জড় হয়ে ?
আমি ভিজবো এই দিনে — এই শরৎের বৃষ্টিতে!
আহ ..!
পোষ না মানা পাখি টাই— পোষ মানাতে চাই!
অতঃপর - আগুনে পুড়ে আকাশে ফানুস হয়ে উড়ে বেড়াই ।
আমি তোমার ব্যথায় ব্যাতিত, তাও রোজ ভালো থাকি —
বিষণ ব্যথা বুকে নিয়ে; জীবন হলো ক্ষয় — অন্তরটা ক্ষত ।
বললে শেষ হয় না, তোমায় কত ভালোবাসি ।
কল্পনায় তুমি আমার এক আকাশ সমান দুঃখের রানী ;
তুমি তো জানো না — তা কেবলই আমি জানি ।
নিশি রাতে জাগ্রত আমি, তোমার পাড়ায় থাকে মন !
প্রতি নিশি কাটায় আমি — সময় ফুরায় না আর কতক্ষণ ।
তুমি সেই রূপময়তা — জীবন নিশি পার করে দেবো আমি, তোমায় করে স্মরণ !
অন্ধকারে হাতরে ফিরি— চাঁদের আলোয় তোমাকে দেখি —
তবুও এক আলোক বর্ষ তোমাকে খুঁজে মরি ।
রক্ত মাংস দিয়ে গড়া মানুষ সেই রক্ত চোষা প্রেমে আবদ্ধ হয় ;
একসাথে কিছু সময় কাটিয়ে আবার জীবন নদীতে রক্তের স্রোত বয় !
মানুষ হারায় — হারাতে হয় — হারাতে বাধ্য।
তবে হারানোর পর বুঝি: মানুষ হারানো মানুষের জন্য সার্থ !
আর ঠিক স্বার্থের কারণেই মানুষ ছলনা করে — নেই যে ফেরানোর সাধ্য !
ওরা জড়িয়ে ধরতে জানে, তবে জড়িয়ে গেলে হারিয়ে যায় !
পৃথিবীতে বাঁচার স্বাদ কেড়ে নিলো ওরা —
তাই মরণ ব্যাধি ক্যানসারে আমরাই জড়িয়ে যায় !
অবশেষে কেও থাকে না — আশায় ভরা জীবন —
অপূর্ণতা কে মেনে নিয়ে করিতে হয় মরণ ।