পৃথিবীর পুরো দেয়াল জুড়ে এঁকেছি নীল দিগন্ত
আক্ষেপে নিজেকে খুন করতে আমি প্রচন্ড ব্যার্থ
আমি এক গুদামঘর সৃষ্টি করি, মানুষের সততা, প্রেম
আরও অনেক চিরস্থায়ী সব মূল্যবান সম্পদ রাখি।
আমার সমুদ্রের গভীরে যাওয়া হলো না — কারণ:
নর্দমায় ভেসে বেড়ানো এক অস্তিত্বহীন শয়তান আমি ;
আমি আমার মস্তিস্কে আবিষ্কার করি এক জলজ্যান্ত কবর
যা দেখে মরণগঙ্গায় ডুব দিলো রাস্তার ঝাড়ুদার
যেভাবে শিশুর আত্মা লাথি দিয়ে ফেলে দেয় নর্দমায়।
শিয়াল পুষতে গিয়ে নিজেই হলাম লেজ কাটা কুকুর
আমার আর কুকুর হয়ে উঠা হলো না —
যে ভয়াবহতার আধার তোমাদের অন্তরে গেথেছিলে
তা হিংস্র জানোয়ার হয়ে রুখে দাঁড়াতাম আমি।
এখানে মুখুশ পড়া মানবতার ছাপ,
এখানে আত্মাকে ছুড়ে ফেলার উত্তাল তাপ,
এখানে পথশিশু মরনের অতল পাপ !
এই ভূখন্ডে না ম`রলে তাদের মানবাধিকার বাড়ে না
বহুকাল তার আবির্ভাব,
হারায় যে কোন প্রান্তে, কোন-বা কারখানায় ?
ফুর্তির আগমন, বিমূখ সম্রাট, শঙ্কা ভীষণ —
প্রাসাদের নির্বোধ জাতি বৃথাব্যায় কে মুকুট পড়ায় ।
প্রাচীন দহনে পুড়ে মনুষ্যত্বের আক্ষেপ, এই যুদ্ধ যেন তোমারই,
আবারও জ্বলে যাও আর ছুড়ে মারো সেই হিংস্র মনোভাব, হবে জয় তোমার 'ই।