[ তোমাদের কেউ ছিলাম না আমি;
রক্ত মাংসে গড়া কঙ্কাল ছিলাম কিংবা মহাকালের এক অনন্য সৃষ্টি
আমার কোন দ্বিতীয় বিকল্প নাই, মহাকাল তা সৃষ্টি করেনি
হয় আপনি আমাকে বেছে নিন, আপনার প্রয়োজনে
না হয় আপনি আমাকে হারাবেন, আজীবনের জন্যে ]
আমি পৃথিবীতে না আসলে তোমরা কাদের‘ই-বা
আমার মতো অগ্রদূতের শয়তান বলতে ?
আমি জানি তোমাদের ভয়াবহতার বিচ্ছেদ হবে না মৃত্যুর আগে
তাই, শুধু আমাকে চেনার এবং প্রকাশিত করার জন্যে
আমার পরের অগ্রদূত আমার চেয়েও আমাকে ভয়ংকর রূপে ধারণা করবে,
কিন্তু সে নিজেও জানে না সে আমার চেয়েও অদ্ভুত ভয়ানক হবে
মথের মতো নিশাচর হয়ে খুঁজবে, — আমার বার্তা
পুনরায় প্রকাশ করবে, তার নিজস্ব আত্মচিৎকার দিয়ে : –
[ আমি দেখেছি পৃথিবীর লোভীরা তেরে আসছে ;
মৃত সৈনিক হয়ে মুখ ভরা লালা নিয়ে,
লালায়িত কুকুরের যেভাবে —
লোভ সামলাতে না পেরে জ্বিহবা দিয়ে লালা পরে
হিংস্র নেকড়েরা সব দল বেদে হুংকার দিচ্ছে পাশ থেকে
সূর্যের আলোয় পারছে না বের হতে জঙ্গল থেকে
আমি পৃথিবীর শিশুদের কান্নায় মৃত্যুর খুঁজ পায়
এ জন্যই নিজেকে এক মহৎ শয়তান তৈরি করেছি
আমার হাসি তাদের, যারা টাকার মস্তিষ্ক খায় ]
কারণ সে জানতে পেরেছিলো আমি যখন বার্তা জানাতাম
তখন নিজেকে খুঁজে পেতাম শয়তান আর পশুর মাঝে
সে আরও জানতে পেরেছিলো আমি কবরের এক নগ্ন বাসিন্দা
প্রতিনিয়ত পুড়েছি নরকের আগুনে,
আরও জানতো আমার দৃষ্টি ছিলো শকুনের সেবিকা
আমি যে পথে হেটে যেতাম নগ্ন হয়ে, সেটা মহাকালের সৃষ্টি
শুধু লুকিয়ে থাকতাম মানুষের ভয়ে, আতঙ্কের ছাপ লেগে থাকতো মুখে
আমার পরের অগ্রদূত হবে রোদসীর রোদন
তার চিন্তা আমার মতোই, থাকে সাড়ে তিন হাত কবরের ভেতর
জলজ্যান্ত মনুষ্যত্ব পুড়ায় — যেভাবে মানুষ পুড়ায় মানুষকে কিন্তু, ক্ষতি হয় না শশানের
আমিও জানোয়ার, মুখোশধারী ; রোদে পোড়া মাটির কঙ্কাল —
এসেছি মহাকাল থেকে ; গন্তব্যও মহাকাল ......