যে জন মোর সাথে বাধিলো প্রেমের ঘর ।
না বুঝিয়া অন্যের প্রেমে পড়িয়া ,
সেই জন'রে করিলাম পর ।
ভালোবাসিলো সে আপন মনে , হেলা করিয়া সার্থ !
মোর জীবনের সার্থ বলিতে বুঝি ,
তাহারে ছাড়িয়া আসায় ব্যর্থ ।
তাহার স্মরণে প্রেম জাগে না আর ,
সে ছিলো মোর রূপসী ;
তাহার প্রেমে মুগ্ধ হইয়া বারবার ,
তাহার কাছেই ফিরিয়া আসি !
"আমি বলিলাম — ভালোবাসা দেবে !
বললো — ভালবাসিলাম সবে !
[]
আবার বললো সে — আসিবে কি ফিরে ?
বলিলাম তখন — একবার মরিয়া গেলে কি আসিবো আবার পৃথিবীর তরে" !
বিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে তাহারেই মনে পড়ে !
এত চাওয়ার পরেও কি সে, আমারে মনে করে ?
আমি তার বিরহে কাতর,
ভিতরটা অগ্নি পুড়া শীর্ণ—জাঝাবর ,
অগ্নি পুড়া শীর্ণ— বিষাদের পাহাড় !
না পারি সইতে, না পারি কইতে, তাহারেই মনে পড়ে !
ভালোবাসার পরিবর্তন ঘটে,
আমরা যে মানুষ বটে !
আসল মানুষ পরিবর্তন হতে পারে না ।
মানুষ পরিবর্তনশীল এ কথাও যে মিথ্যা না ।
কোথায় গেল পাবো নিজের অধিকার ?
খুঁজতে গেলে মরে যায় বারং-বার ।
তবে কেউ কি চিন্তা করবে আমার ?
আমার এত নিকৃষ্টের কারণ যে শুধুই তোমার !
পৃথিবীতে আমার নেই-কোঁ ঠাই !
বেচে থাকার মাঝে আমি মরণ যে দেখতে পাই !
পৃথিবীর মানুষদেরকে বলছি :
মানুষ হয়ে — মানুষের অন্তরেই জলছি !
মৃত্যুতে আমি শান্তি পাই !
মগজে হিংস্রতার বিরাজ করছি ;
জানোয়ারদের মতো বাঁচার স্বাদ পেয়েছি !
আমি পৃথিবীর মানুষদেরকে বলছি —
আমি আমার জীবন থেকে মুক্তি চাই ।
হে পৃথিবীর মানুষ ! —
তোমারা মুক্তি করে দেবে তো আমায় ?
মরণশীল মানুষের ঘুম কিসের ?
নিজের জীবন কি তবে- নিজেই বানাবো নরকের ?
তবুও আনন্দ উপভোগ করে অকালেই জড়ে পরো !
মনের পক্ষে সব করা যায় মনের বিরুদ্ধে কিছু না ।
এগুলো হয়তোবা কেবল মানুষের বানানো বাহানা !
আসলে মানুষ তো তা-ই পায় যা তার কর্মফল ।
বিদায়ের পালা এবার আঙুলের ডগায় —
তাহলে এবার বিদায় নিবি চল !