রবীন্দ্রনাথ ; ঠাকুর হইতে চাহে নাই আমরা তাহাকে ঠাকুর বানাইয়া ছাড়িয়াছি।

"আপনায় স্থাপিয়াছ, জগতের দেবতারে নহে।"

কবি গুরুর পাশে আপনার ছবি সাঁটিয়া য়াহারা লিখিয়া রাখিয়াছে লহো প্রণাম তাহারা কি একথা জানেন । তাহারাও কি একথা জানেন যাহারা কোন এক ভিক্ষুকের মুখে "রক্তকরবী"কে অক্তকবরি শুনিয়া নাক সিটকাইয়া ওঠেন পঁচিশে বৈশাখে।মেলচ্ছের মুখে রবীন্দ্রনাথ শুনিয়া যারা জাত গেল ভাব প্রকাশ করেন;তাহারাও রবীন্দ্রনাথকে কতটুকু বোঝেন। চৌমাথার মোড়ে প্রত্যেক ক্রসিংয়ে কর্কশ যান্ত্রিক বাদ্যযন্ত্রের সাথে রবীন্দ্রনাথ মিলাইয়া যাইতেছে ।

শান্তিনিকেতন আজ চরস সেবনের আড্ডা হইয়া উঠিয়াছে ।
এমন রবীন্দ্র প্রীতি দেখিয়া স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ আর
মর্তলোকে ফিরিয়া আসিবেন বলে মনে হয়না ।
সোনার তরীরে কাঁধে করিয়া বহন করিয়া চলিলাম বাহন করিতে
পারিলাম না ।

ক্ষমা করিবেন রবীন্দ্রনাথ ;এবার জন্মাইলে দয়া করিয়া আর কবিতা লিখিবেন না .....গান গাহিবেন না । আপনি রাখাল হইতে চাহিলে আমরা বুঝিব কৃষ্ণ কানাই। আপনি ভিক্ষুক হইতে চাহিলে আমরা বলিব হরিষ চন্দ্র !

আপনার আমরা মূরতি গড়িব ; মূরোতি ধরিব না ।