নৈস্বর্গলোক থেকে নেমে আসা
আমি কোন দেব দূত নই সুজাতা!
রক্ত মাংসের মানুষ।
বোধি বৃক্ষ নিচে এই উপল বেদীর আসনে
ভেব না জয় করেছি সব ; কামনা বাসনা,
ক্ষুধা-তৃষ্ণা, রাগ- দ্বেষ - হিংসা মানুষের যতো
জড়তা শরীরে।
ভেব না আমি সমাধি চাইছি।
মুক্তির পথে সর্বস্ব ত্যাগী। ভিক্ষা পাত্র রেখেছি সাথে।
মানুষের আদিম প্রবৃত্তি গুলো ;
শাসন করে বশ মানাতে চাইছি? -না তাও নয়।
ওভাবে জীর্ণতা বাড়ে।
আমি চাইছি চুম্বন; আমি চাইছি লেহন;
আমি চইছি মৈথুন চিরন্তন অনন্তের পথে।
ঠিক তোমার ওই সুমিষ্ট সুন্দর পায়েসের মত।
কি যত্নে তুমি শর্করা দুধে গুলে বাসমোতী চাউল
দিলে তাতে ঢেলে। উষ্ণতা দিয়েছ যতটা চেয়েছ তুমি।
দ্রাক্ষা ছড়িয়েছ তাও পর্যাপ্ত পরিমিত।
স্বচ্ছ মৃন্ময় পাত্রে সেবানিতে সেখালে ভোগান্ন।
আমার এই ক্ষুদার্থ শরীরে সত্যের আত্মা গেছে জেগে।
আমার এই বধির কর্ণকুহরে ; মুক্তির বানী আজ বাজে।
আমার ক্ষিনো দৃষ্টি পেয়েছে দিশা।
মুক মুখমণ্ডলে অনাবিল অমৃতের তৃষ্ণা।
অগ্নির রুঢ় সত্যে গড়ে নিলে অবিকল্প
সুন্দরে।
বুঝেছি নির্বাণ মানে নিয়ন্ত্রণ তেজস্ক্রিয়তার।
মোক্ষ মানে হেলায় অতিক্রম জরাজীর্ণতা।