জামাতেরা ফ্রান্সের সেই ক্যাথলিকদের
উত্তরসূরি যারা নির্বিচারে হত্যা করতো ,
ঘর পোড়াত, করতো ধর্ষণ প্রটেস্টান্ট
ইউগোনোত দের । বাংলা দেশ এখনো পড়ে
আছে পনেরশ আটানব্বই যের আগের
মধ্যযুগীয় ফ্রান্সে । এখানে ইউগোনোত
হিন্দুরা । ধর্মনিরপেক্ষ গণপ্রজাতন্ত্রী
সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা
সব মুসলমান এখনো কী যোগ দেয়নি
মৌলবাদী সংগঠনে ? জামাতে রা কী তাই
চায় গোঁড়া মৌলবাদী ইসলামিক চেতনায়
সুড় সুড়ি দিয়ে আর একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ?
বিগত বেয়াল্লিশ বছরের স্বৈরাচারী সামরিক
শাসন আর রাজনৈতিক দলগুলির দূর্নীতিগ্রস্ত
গণতান্ত্রিকতা যখন বারুদের স্তূপে পরিণত
করেছে সাধারণ নিরীহ মানুষের ক্ষোভ । রাষ্টীয়
প্রশাসনিক দুর্বলতাগুলি ক্রমেই হয়ে চলেছে
প্রকট ! সব দৃষ্টি এড়াতে একটা দাঙ্গা খুব
জরুরী ? ইসলাম ধর্মের নামে কলুষিত
জামাত ও শিবির ঝাঁপিয়ে পড়েছে সহিংস্র
আন্দোলনে ! লক্ষ্য তাদের প্রগতিশীল
গণজাগরণ মঞ্চ ! ওদের জাগিও না
ঘুমতে দাও । লক্ষ্য তাদের মুক্তিযুদ্ধের
চেতনা-বাহী ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা !
না হলে যে মোল্লাদের ধর্ম ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে ।
লক্ষ্য তাদের রাজাকারদের বিচার বানচাল ;
কুখ্যাত রাষ্ট্রদ্রোহী জামাতি নেতাদের মুক্তি ।
লক্ষ্য তাদের শাহবাগ প্রজন্ম ! জাতির কণ্ঠে যে সাহস জেগেছে ;
তাকে অঙ্কুরেই খতম করা! বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে কবরে
ঢাকা পরা ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিকতার বানী
আবার যখন কবর ফুরে বেড়িয়ে আসছে ।
জিয়া-এরশাদেরাও সক্রিয় সংবিধানের আড়ালে
খুন করতে মানুষের অধিকার ।
না ; সব মুসলমান মানেই জামাতে ইসলাম নয় ।
কারণ সবাই তো ঘর পোড়ায় না ; নিঃসংকোচে
করেনা খুন কিংবা ধর্ষণ । সবাই তো শিরচ্ছেদ করেনা
ধর্মের দেব দেবী বিনা কুণ্ঠায় । তারা জানে
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পাক-পন্থী মৌলবাদীরা
আর যাই হোক ধার্মিক নয় । ধর্মত বিছানায় বিছান
চাদর নয় যখন ইচ্ছে নোংরা করে চলে একবার
ধুয়ে নিলেই সাফসুতরা । ধর্ম একটা বিশ্বাস যা
কলুষিত হলে মরে যায় মানুষের শুভ্র চেতনা ।
উঠেছে জামাত নিষিদ্ধকরণের স্লোগান! সোচ্চার হয়ে
উঠেছে প্রজন্ম চত্বর রাজনীতি থেকে ধর্মীয় দলগুলির
অপসারণ ; সংবিধানে "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" বাতিলের দাবিতে ।
একদিকে শিক্ষিত এক শ্রেণীর জনগণের মধ্যে ধর্মীয়
সংস্কারের আবদ্ধতা থেকে মুক্তি ;অন্যদিকে আর এক শ্রেণীর
ধর্মীয় উন্মাদনায় বাঙালি জাতীয়তার বিপক্ষে ইসলামিক
জাতীয়তা-বোধ জিইয়ে রাখার চেষ্টা-চলছে ভোট বাক্স ভরতে ।
পালে জনসমর্থনের হাওয়া টানতে চাইছে
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি । বাংলাদেশ আজ পরস্পর বিরোধী
দুই শিবিরে বিভক্ত! গৃহযুদ্ধের আগে । গত চার দশক ধরে
বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তিগুলি পুষ্ট হয়েছে মার্কিন
পেট্রোডলারের সৌজন্যে! সরকারের হাতপা বাঁধা!
বাংলা দেশে আজ চতুর্থ হেনরি নেই । সাধারণ মানুষের চোখ
ঘোরার মত ঢেকে যারা কায়েমি স্বার্থের রথ কখনো ধর্মের নামে
কখনো বা সংবিধানের নামে এগিয়ে নিয়ে চলেছে কেউ রাস্তায়
নেমে এসে রুখছে না তাদের কে । বলছেনা আর রাজনীতি-ধর্ম
দলাদলি নয় । সাক্ষরিত হচ্ছেনা "এডিক্ট দ্যা নান্ত " র মত
কোন চুক্তি পত্র । সংখ্যা লঘু ইউগোনোত দিনদিন কমে চলেছে
বাংলা দেশ থেকে । অপরাধ তারা জন্মেছে হিন্দু হয়ে । আর কত
অভিশপ্ত রিফিউজি হবে বাংলা দেশের মানুষ দেশে বিদেশে । আর
কত ধর্ষণ হবে নদী অববাহিকা আর এঁটেল মাটির এ দেশ ।
তসলিমার লজ্জা আজো বাঙ্গালীর কুঞ্চিত করেনি ভুরু ।
" এডিক্ট দ্যা নান্ত " পুরস্কার ফেলে এসো নাজরিন আর লজ্জার
কথা লেখ এই বাংলার । মৌলবাদীরা ঘোষণা করুক তোমার
মাথার দাম ; না দিক ঢুকতে আজন্ম এদেশে তুমি থেমো না ।
বেহায়া লুটেরা দের কথা লেখ । জিঞ্জেস করো কোরানের কোথায়
লেখা আছে ইসলাম মানে ভ্রষ্টাচার ; হিংস্রতা ; পরধর্মের প্রতি ঘৃণা ।
মানুষের স্বাধীন বাঁচার অধিকার কেড়ে নেবার চাইতে বড় পাপ এ
পৃথিবীতে আর কী আছে ?
অ্যামনেস্টি ইন্টার ন্যাশনাল ; আন্তর্জাতিক মানব অধিকার সংস্থা
সংখ্যা লঘু হিন্দুদের চেয়েছে জরুরী নিশ্চিত নিরাপত্তা । ইফতার দেওয়া
নেওয়া দুই পরিবার হিন্দু মুসলমান জাগরিবের আযানের জন্য অপেক্ষা
করছে আজ এই রোজার মাসে । এই ইফতার কী " এডিক্ট দ্যা নান্ত "
হতে পারেনা ? আর কত কাল পৃথিবীতে নির্যাতিত হবে সংখ্যা লঘু
ইউগোনোত ?