অনেক চড়াই উতরাই পেড়িয়ে এগিয়ে চলেছি আমরা ।
সভ্যতার কথালাপে দূরে সরে গেছে ক্ষীণ প্রাণ
চড়াই পাখি । অনেক দিন পরে তাকে আবার আবিষ্কার
করলাম উল্টো ডাঙ্গায় বাজারের কোনায় ; অসভ্যের মতো
নোংরা ডাসবিনে মানুষের উখলানো বমি ক্ষেতে ।
চড়াই ; ওটা কী অমৃত । তুমি আর কেন আস না আমার
জানালার ঘুল ঘুলিতে ?
চড়াই যেন হেঁয়ালি করে বলল ; জানালা গুলো বন্ধ হয়ে
গেছে । ঘুল ঘুলি দিয়েও আলো ঢুকছে না তোমার ঘরে ।
স্যাটেলাইট আর টিউ লাইটের আলোয় তুমি যে অমৃত কথা
পড় ; আসলে তা শুধুই পর্নোগ্রাফি । সভ্যতার অসভ্যতা মি
পান করে তুমি কী হতে চাও ? নীল কণ্ঠ্য নাকি বিষবৃক্ষ ।
মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে থাকা ; আমি এক
কলঙ্কিত নায়ক । চড়াই উপাখ্যানে ।
আমার কাতর মিনতি চড়াই আমাদের বন্ধুত্বকে ভুলে যেয়ো না ।
আবার তুমি বাসা বাঁধ অমার ঘুল ঘুলিতে ।
চড়াই বলল; জানালার সার্শী গুলো খুলে দাও ।
আসতে দাও প্রকৃতির অকৃত্রিম আলো বাতাস ।
যা তোমার মূলাধারে আঘাত করে সুষুন্নাকান্ড জাগ্রত করবে ।
কারখানার চিমনির মতো তোমাকে আষ্ঠে পিষ্টে বেঁধে ; মহাশূন্যে
ঝুলিয়ে রেখে ; ধূম্র পায়ীর মতো দূষণ উদগিরন করিয়ে চলেছে
যে তার । তা ছিঁড়ে ফেল । বীণা-র তারে জীবন বাঁধো । তবেই তো
ছন্দ পাবে । না হলে শুধুই লাস পচা দুর্গন্ধ । হৃদয় মেলে
ভালোবাসো দেখবে সমস্ত পৃথিবী ঠোঁটে করে কাঠি সাজাতে
শুরু করেছে তোমার মনের ঘুল ঘুললিতে ।
----------