সময়ের চাকায় পিষ্ট এ জীবন
ধেয়ে চলে মৃত্যুর উপত্যকায়,
পাতা ঝরে যাওয়া বৃক্ষের মতো
দিবস শেষ হয় অপূর্ণ শূন্যতায়।
এই চিরপরিচিত আকাশ দেখতে দেখতেই
শরতের হাওয়া এসে গায়ে লাগে বড্ড শীতলভাবে!
অপেক্ষায় প্রহর গুনি বসন্ত আগমনের
রিক্ততায় হৃদয়ে খরা জাগে কোকিলের গানের অভাবে,
ভাবনায় বিভোর এ ব্যথাতুর জীবনে
কাঁদে আত্মা এ ধরণীর ঋণে।
হাজারো মায়া জড়ানো এ প্রহর গুনতে গুনতে
একদিন শেষবারের মতো দেখে নেবো নীল আকাশ
মন মন্দিরের সংকীর্ণ বাতায়ন ছিদ্র করে
সমাজকে দিয়ে যাবো অনন্তকালের সর্বশেষ আভাষ।
প্রান্তরের আলপথে রেখে যাবো মায়ার পরশ
সাবলীল হাওয়া ছিন্ন করবে প্রণয়ী বাঁধন
শালিকের ব্যথাতুর চিৎকারে, সেদিন
আবারো হয়তো হবে আমার অস্তিত্বের আগমন।
চলে যাওয়া হাওয়া, ভুলে যেতে চাওয়া
বিষাক্ত অতীত নিদ্রাহীন চোখে জাগবে না আর,
শেষবারের মতো যবে দেখে নেবো
শান্তিপ্রিয় এ অশান্ত জগৎ সংসার।
নিভৃতে তাই অজানা স্বরে গেয়ে চলি
চলে যাওয়ার গান,
জানি আমার অবর্তমানে সেদিনও, কালো ভোর শেষে আলো আসবে
আমায় স্মরে কারও হবে না জানি এতটুকু অভিমান।