এই খোলা আন্তরীক্ষ তলে
নক্ষত্ররা আজও ঘোরেফেরে,
উৎসবে মেতে ওঠে - গান গায়, সুর তোলে
আগুন জ্বেলে ধূসর হিমের মধ্যে।
ধোয়ার কুন্ডলী পাকিয়ে পাকিয়ে শূন্যে ওঠে
তারা তাকিয়ে দেখে তাকিয়ে থাকে,
সারি সারি নারিকেল গাছের চূড়ায়
একফালি সোনালি দুঃখ ঝুলে আছে
তারা জানতে চায় কি আছে তাহার ভিতরে
অগ্নি? কলঙ্ক নাকি ছলনা?
জোছনায় পোড়ে তারা বাদামী কাঠের মতো
শীত উড়ে চলে যায় কোনএক ঝোপঝাড়ে,
যেখানে সারি সারি গাছের ভিড়ে
দেবদারু মাথা উঁচিয়ে আচ্ছাদিত করে নেয় আপন ছায়াতলে।
তারা আজও হাটে ঝোপঝাড় পেরিয়ে লোকালয় পানে
জীবনের নানান আয়োজনে ছুটে চলে মানুষ -
স্টেশনে, বাজারে, শূন্যতায়- কিসের জন্যে?
মোহে? নাকি টিকে থাকার লড়াইয়ে?
তারা দেখে জীবনের প্রয়োজনে কতো বন্দোবস্ত -
অভিনয় জীবননাট্যশালার মঞ্চে,
একজনে ছিঁড়ে খায় শকুনের মতো অন্যজনে।
এই ঝলমলে এলইডি বাতির শহরে
তারা আজও খোঁজে-ফেরে - রহস্য!
তারা হাসে-কাঁদে, নৃত্য করে আর ভাবে
মানুষ আরও কতোটা অভিনয় করতে পারে!
মিথ্যার বুলি ছড়িয়ে রচনা করে নতুন নতুন পান্ডুলিপি
দুর্বল চিত্রনাট্য দেখে তারা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে,
বুঝতে চায় না, বুঝতে দেয় না!
এই মহাশূন্যে নক্ষত্ররা আজও ছুটে চলে
এসেছিলো তোমার খোঁজে
দিন পেরিয়ে রাত- ভোর - মাস, বছর
তারা সময় খেয়ে চলে- তোমায় খুঁজে চলে,
কিন্তু কেউ জানে না তারা মারাগেছে
আরও অনেক অনেক বছর আগে!