আচ্ছা আমি তোমায় বলেছিলাম তোমাকে কল্পনায় আঁকতে পারছিনা- সেটা হয়তো মিথ্যা বলেছিলাম।
এই যে দেখো, তোমায় আমি এঁকেছি - বর্ষার শীতল বারিধারায় গ্রীষ্মের প্রখর উত্তাপে শুষ্ক-মৃতপ্রায় বৃক্ষলতা যেভাবে নবজীবন পায় সেভাবে।
তোমায় এঁকেছি সবুজের সমারোহে বাতাসের ঢেউ যেভাবে নৃত্যের তালে ছুঁয়ে যায় সেভাবে।
বৃষ্টির পানিতে চারিদিকে থৈথৈ করে নদী যেমন কানায় কানায় ভরে ওঠে, আমি সেভাবে এঁকেছি তোমার যৌবনকে।
তোমায় এঁকেছি কলমিলতার সমারোহে, শাপলার শুভ্রতায়।
কেয়া কামিনী গন্ধরাজের সুগন্ধি প্রস্ফুটিত হচ্ছে তোমার থেকে
কদম থেকে বৃষ্টির ফোটা ঝরার মতো ঝরছে তোমার চুল থেকে।
তুমি ভাজা ইলিশের লোভনীয় গন্ধের মতো সুন্দর,
কৃষক পাট থেকে সোনালী আঁশ ছাড়ানোর সময় যে সুমিষ্ট গন্ধে খুশিতে ঠোঁটের কোণে একচিলতে হাসি খুঁজে পাই, তোমার শরীর থেকে সেই গন্ধ ভেসে আসছে।
বর্ষার বারিধারা যেমন লোকালয়ের সব আবর্জনা ধুয়েমুছে বিশুদ্ধ হাওয়া দেয়, সেই হওয়ায় উড়ছে তোমার নীল শাড়ির আঁচল।
তোমাকে এঁকেছি আমি শতরূপে শতবার
তোমাকে দেখেছি আমি এই সুজলা শ্যামলা বাংলায়।।