তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখতে মন চাই
কিন্তু শব্দের পর শব্দ সাজালে তো আর কবিতা হয়ে ওঠেনা; কবিতা তোমাকে বর্ণনা করতে পারবে না।
বাইরে ঝুম বৃদ্ধি হচ্ছে, সেই বৃষ্টিতে তোমাকে দেখছি তুমি বৃষ্টির ছন্দে-তালে হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করছো - অদ্ভুত-সুন্দর সে দৃশ্য!
নিমপাতা থেকে বৃষ্টির ফোটা ফালি ফালি হয়ে ঝরে পড়ছে আর আমাকে ক্ষত-বিক্ষত করে যাচ্ছে।
এই মুক্তোর দানার মতো বৃষ্টির ফোটা মনের ভিতর বিষন্ন-তিক্ত স্বাদে ঝরে পড়ছে - এই বৃষ্টির দিনে তুমি নেই বলে!
জানালার পাশের তুলসিগাছটা সোনালী বৃষ্টির ফোটা জমে থেকে জানান দিচ্ছে তোমার শুভ্র-কোমল-স্নিগ্ধ সত্তাকে।
মুগ্ধ হয়ে দেখছি - আজ তুমি থাকলে হাত ধরে একসাথে হাঁটতাম বধ্যভূমির কাঁচা রাস্তায়
খামখেয়ালি বাধ্য প্রেমিকের মতো তোমার খোঁপায় গুঁজে দিতাম কলমি ফুল- কানে দিতাম।
তোমাকে রূপকথার রাজকন্যার মতো লাগতো!
হঠাৎ পাগলামি চেপে বসতো - দৌড়ে গিয়ে ভেজা বকুল গাছটা ঝাড়া দিতাম আর জমে থাকা পানি তোমাকে ভিজিয়ে দিতো।
তুমি কোনকিছু আঁচ করতে না পেরে ভয়ে-আবেশে আমাকে জড়িয়ে ধরতে!
আমি সুখে-স্নিগ্ধ-শীতল অনুভূতিতে ভিজে যেতাম।
তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখতে বসলে যেন সেটা বর্ণনা হয়ে যায় - কবিতা আর হয় না।
জানালা দিয়ে হঠাৎ একটা পাখি ডেকে গেলো
মনে হলো তুমি এসে ডাকছো - ফোনে তাকাতেই দেখি তুমি বলছো- "আমি রাজশাহী তেই"।।