: একা বসে থাকতে ইচ্ছে করে মানুষের?
: হ্যাঁ... আমার তো করে।
: অদ্ভুত ইচ্ছে মানুষের!
: ঠিক!মানুষের কিছু ইচ্ছে অদ্ভুত হয়।
তো তুই কেন একা বসে আছিস?
তোর মিতার অভাব?
না কি এটাই স্বভাব?
: দুটিই!অভাবে-স্বভাব গড়তে অভ্যস্ত।
: তোর মাঝে নিঃশব্দতার ঘ্রাণ পেয়ে আমি অবাক!
: কেন?তোমার সাথে মিল আছে তাই?
: শব্দ করবি,ধ্বনি ছড়াবি...
: তোমর শব্দতো শুনতে পাই না!ধ্বনি ছড়াও না তুমি।
: আচ্ছা তুই 'পাথর চাপা' হয়ে থাকিস না তো!
তুই 'কার্বন মনোক্সাইড' একটা...
: অনেক ভালো!
: ভালো?নিরব ঘাতক এটা...
: নিরব ঘাতক ঠিক,
তবে মানুষের মতো বিশ্বাস ঘাতক না।
নিরবে নিজেকে শেষ করি,
অন্যকে আঘাত করি না।
: মানুষকে এমন বললি কেন?
: মানুষ 'অক্সিজেন' এর মতো।
: সে তো হবেই।অক্সিজেন আমাদের আষ্টে-পিষ্টে
জড়িত।
: 'অক্সিজেন' নিজে জ্বলে না,অন্যকে জ্বলতে সাহায্য
করে।মানুষও ঠিক এমনই...নিজেকে আকড়ে ধরবে,অন্যের কথা তাদের চিন্তাধারার বাইরে!
: তোকে 'কার্বন মনোক্সাইড' ডেকেছি বলে তুই আমাকে 'অক্সিজেন' ডেকেছিস?
: তোমাকে বলি নি শুধু!প্রায় মানুষই কিন্তুু 'অক্সিজেন' এক-একটা...জাফর ইকবালের 'মহাজাগতিক কিউরেটর' গল্পে কেন মানুষকে না নিয়ে কয়েকটি পিপড়া তুলে নিয়েছে?
: তোরা এলিয়েনরা কি 'কার্বন মনোক্সাইড' এক-একটা?
: আমাকে অনুসরণ করে কথা বলছো যে?
: অক্সিজেন কেন কার্বন মনোক্সাইড-কে অনুসরণ
করবে!!
: তুমিও আমাদের দলের..অক্সিজেন না,তুমিও
'কার্বন- মনোক্সাইড' ।