“মানুষ মানুষের জন্য”
উক্তিটি কোন অর্থে প্রযোজ্য-
উন্নয়ণ,উত্তোরণ,ধর্মভীরুতা,সহমর্মিতা?
না
ধ্বংস,সংঘাত,বিরোধীতা?
সদা সত্য কথা বলা,সৎ পথে চলা,সৎ কাজ করা এবং সৃষ্টি কর্তার প্রতি অঘাত বিশ্বাস স্থাপনেই বেহেস্ত সুনিশ্চিত,
নহে বিকল্প ধারাই, নহে অন্য কোন পন্থায়।
একদিকে-
সত্যব্রতী সৃজনশীল মানুষ,সর্বদা কল্যাণকর কাজে সৃষ্টির নেশায় অধ্যাবসায়ী।
অন্য দিকে-
রক্তশোষক ধ্বংসাত্নক কার্যকলাপে লিপ্ত নর ঘাতকের দৌরাত্ন।
একদিকে-
বিজ্ঞান প্রযুক্তির গভেষক।
অন্যদিকে-
সুদখোর, ঘুষখোর, লুটেরা, নিশাখোর,মাতাল।
একদিকে-
ভূ-গর্ভের অতল গহবর থেকে,কঠিন-তরল-বায়বিয় পদার্থ উত্তোলন,সংরক্ষণের ব্যতিব্যস্ততা।
অন্যদিকে-
চুরি,ডাকাতি,আত্নসাৎ,পাচার,বিনষ্টকারির কুচক্রান্ত।
একদিকে-
অত্যাধুনিক যান্ত্রিক সম্ভার আবিস্কারের দ্বারা উন্নত বিশ্বায়াণের আবির্ভাব।
অন্যদিকে-
দুষ্কৃতিকারি,কারচুপি,ভোটচুরির পাঁয়তারা,ক্ষমতার দম্ভ। বাঙ্কারে আত্ন গোপন করে,ষড়যন্ত্রের বিশাল জাল বিস্তারে নিমগ্ন।
একদিকে-
সাদা মনের মানুষ- সুসভ্য সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আত্ন প্রত্যয়ী।
অন্যদিকে-
উচ্ছৃঙ্খল ঘৃণ মনের মানুষ- বিশৃঙ্খলার বিষাক্ত ধোঁয়া বিচ্ছুরণের উল্মাদনায় ব্যতিব্যস্ত,অবৈধ পথের পথিক।
সুক্ষ্ণ সমীক্ষায় প্রতীয়মান হয় যে,
মহাবিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অধিকাংশ মানুষ নিরীহ শান্ত,ভদ্র,নম্র, নির্ভেজাল,
সত্য প্রত্যয়ী,সংঘাত হীন সংজমি,ধর্মভীরু,কর্মবীর,দেশপ্রেমীক,পরদুঃখকাতর,নির্ভেজালী।
ধরি একটা গ্রাম বা শহরের কথা -
চোর,ডাকাত,সন্ত্রাসী,নারী লিপ্সু,মদখোর,জুয়ারী,পর সম্পদ লোভী,আত্নসাৎকারী,
লুটেরা ইত্যাদির সংখ্যা হাতে গনা কয়েকজন অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার লঘুতম অংশ।
এই সংখ্যা লঘু শয়তানেরা-
তৃণমূল থেকে রাষ্ট্রীয় পর্য়ায় পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে শাসনব্যবস্থাকে কলূষিত করে আসছে।
সুস্থ্য পরিবেশকে করছে অসুস্থ্য,স্নিগ্ধ বায়ুপ্রবাহ করছে অস্থির চাঞ্চল্যকর।
ইহা নহে কারো কাম্য,,নহে কারো প্রত্যাশা।
এক দিকে-
স্বার্থ ত্যাগী সোনার মানুষ- কঠিণ সাধনায় ব্রত থেকে, রাত-দিন সুক্ষ্ণ গভেষণায় সাফল্য অর্জনের লক্ষে,
জীবন যৌবন বিসর্জন দিয়ে,অধ্যাবসায়ী হয়ে নিত্য নতুন আবিস্কারের নিশায় মত্ত ।
যেমন বায়ুমন্ডলে ইথার তরঙ্গের মাধ্যমে আকাশ বাণী প্রেরণ-গ্রহণ-সংরক্ষণ।
সূর্য তাপ থেকে-
সৌর চুল্লি,সোলার প্যানেল,
বৃক্ষ তরু থেকে-
ভেষজয়াদী,যার দ্বারা জটিল কঠিন রোগ ব্যাধি নিরাময়ের সাফল্যতা।
ভূগর্ভ থেকে-
মহা মূল্যমান ধাতব পদার্থ উত্তোলন ও পরিশোধনের মাধ্যমে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি,
কল কারখানা নির্মাণ ও ডিজিটাল পদ্ধতির প্রচলন। সমাজ ব্যবস্থার আমুলক উন্নয়ণ সাধন।
অন্যদিকে-
কালো পোষাকধারী স্বার্থ লোভী অমানুষ- ভোগের নেশায় মত্ত মাতাল।
আত্ন সম্মান বোধহীন-নাদান নির্বোধরা ধর্মের নামে অহেতুক,মিথ্যা,
প্রমাণহীন তথ্যের ভিত্তিতে শরিয়ত বিরোধী,সমাজ বিরোধী,গণতন্ত্র বিরোধী
উচ্ছৃঙ্খল কার্যকলাপে সর্বদা উল্মাৎ।
যখন নিষ্ঠাবান সৎকর্মীগণ-
অত্যাধুনিক বিশ্বায়ণ প্রতিযোগীতায় প্রাণ পণ প্রচেষ্টায় বদ্ধপরিকর।
ঠিক সেই সন্ধিক্ষণে ধ্বংসের লিলা-
মদ-গাঁজা-হিরোইন-ফেন্সিডিল-নিকুটিনে আসক্তি,খুন যখম,হানাহানি,ছিনতাই,ক্ষমতা দখলের পাঁইতারা,
বিৎঘুটে বিভ্রান্তিকর জোয়া খেলার আড্ডা। সুস্থ্য সমাজকে অসুস্থ্য করা,চলমান রাজনীতিতে অস্থিরতা,
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, বীভৎসতা ব্যভিচারী,জঙ্গীবাজি। সমাজের রন্ধে রদ্ধে অতঙ্কের লেলিহান শীখা,নৈরাজ্যতা,
অপশাসন কায়েমের হীন প্রবণতা।
ও হে মানব রূপী দানব-
কেমন জঙ্গীবাদ,নাহি তব স্বাধীনতার সনদ।
কতদিন আছে, মিথ্যা আর অপকৌশলীর হায়াৎ?
আর বেশি দিন নাই।
মহুর্তেই দেখবে তেলেছমাদ,
অতি শীঘ্র হতে বাধ্য পয়মাল বরবাদ।
কেন বোঝ না,জেনেও জানো না,দেখেও দেখো না,
পর্বতসম এ যাতনা।
দিতে চাই একটু সান্তনা-
বিশাল বুদ্ধির ভান্ডার মস্তকখান,
প্রচন্ড শক্তিশালী বাহু দু’খান,
তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অপলক দু’নয়ন,
স্বেচ্ছা বিচরণী স্বাধীন দু’টি চরণ,
মানব রূপে মাংস স্তুপের দেহখান,
দানিয়েছেন বিধাতা স্বল্পক্ষণ,
করতে তাঁর সাধন ভজন।
সক্ষম ইন্দ্রিয়ের সদ্বব্যবহারে কেউ ধন্য,কেউ মৃত্যুঞ্জয়ী।
আবার,
কেউ কু-মানসে বিষাদী অনলে পুড়ে ভষ্মিভূত।
এখনও সময় আছে-
ফিরে আয় নরাধম সুপথে, যাসনে বিপথে, যাসনে বিপথে।