ও রে হানাদার পাকিস্থান,
স্বার্থান্বেসী-অর্থপিশাচ-শয়তান,
তোরা স্বৈরাচারী শাসক গুষ্টি,পবিনা পরিত্রান।
তোদের নগ্নতা,
অশ্লীলতা,নৈরাজ্যতা,হিংস্রতা,
শোষণ,নির্যাতন,নিপীড়ণ,হাহাকার,অসভ্যতা,
জর্জরিত নিরস্ত্র বাঙালীর স্ত্রী-পুত্র-কন্যা-বঙ্গ জননী সদা সর্বদা।
উপেক্ষা আর ছলনায়,
মর্ম ব্যথায় ব্যথিত আত্মায়-
দানিয়েছি,আত্মত্যাগ আর মহানুভবতায়-
অকৃত্রিম ধন্যবাদ, প্রেমাবেগ,দারুণ প্রত্যাশায়,-
¯ত্মুতিবাদ,বিনয়তা,ভদ্রতা,নম্রতা,সহিষ্ণুতা,দ্বীনতা হীনতায়-
তোদের মত নির্দয় পাষণ্ডের রাক্ষসী কড়াল গ্রাস স্তিমিত হয়নি এ ধরায়।
ওরে- রক্তখেকু পাষাণ -
বঙালীর শত শহস্র প্রচেষ্টা ব্যর্থ যখন-
বিশ্ব বেঈমান পাষণ্ডের তরে অরণ্যে রোদন,
ছিন্ন ভিন্ন কামার-কুমার-জেলে-তাঁতির ধৈর্যের বাঁধন,
প্রতিটি বাঙালীর দ্বার প্রান্ত বিকলাঙ্ক সেই মহা সন্ধিক্ষণ,
দিশা হারা ভিসা ছাড়া বাঙালী অসহায় নিরুপাই হলো যখন।
প্রকৃতির অগ্নি লাভায়,
উল্কা পিণ্ড অগ্নি স্ফূলিঙ্গ হয়ে হায়!
ঝঞ্ঝার বেগে বের হয়ে রাস্তা ঘাট প্রান্তর দরিয়ায়-
বিষণ ব্যঘ্র হুঙ্কারে ঝাঁপিয়ে পড়েছি পালোয়ান রোস্তমের মত স্বেচ্ছায়।
ভেনল্লা কাষ্ঠের নৌকাখান,
সবুজ পাল লাল ছইয়া প্রাক্তন,
সাজনা কাঠের দুর্বল বৈঠা হস্তে করে ধারণ,
বঙ্গ মাঝী-উত্তাল সমুদ্রের মহা গর্জনে উৎকণ্ঠা বিষণ।
বাংলার বাউল মাঝীগণ-
এক সাথে এক সাজে পরিধানে সাদা কাপন-
সূর্য সম দু’টি নয়ন,মন প্রাণে মৃত্যুপন সমর্পণ বিষর্জণ-
প্রবল উৎকণ্ঠায় বিদ্যুৎ বেগে সুতীক্ষ্ণ নিষ্ঠায় বাণী বিচ্ছুরণ।
এক দাবী এক জবান-
নিরবচ্ছিন্ন বাংলার স্বাধীন,
অসত্য,অন্যায়,পাষবিকতার রেশমী আচ্ছাদন,
বন্দুক রাইফেল শ্যাল কা মানে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিঃস্ব জনগণ,
বিভীশীখাময় তাপদাহ ছারখার হলো,লাখ জ্ঞানি গুণির সহজ সরল প্রাণ।