“বর্ষার বন্যা”
কবি- আলহাজ্ব মুহাম্মদ শফি (বড়তারা)
তারিখ- ০২/০৮/২০২৪ ইং
রজঃ- শুক্রবার
সময়- ধান্ধা ৮.০০ঘটিকা

বৃষ্টি ঝড়ে মশুল ধারে,
অন্তর কাঁপে হায়!
পিপড়াগুলি পোটলা বেঁধে,
ভেঁসে চলে যায়।
অবিরাম যেন বিদ্যুৎ চমকায়,
বজ্র ডাকে তাই,
চারি দিকে বন্যার পানি,
মাটির দেখা নাই।
কোথাও কারও যাওয়ার কভূ,
কোন উপাই নাই,
অনাহারে রহিম চাচা,
ধুকে মরে যায়।
বন্যার জলে ভাঁসে মৃত,
গরু ছাগল হায়!
ফসল নষ্টে কাঁন্দে বসে
নিঃস্ব চাষী ভাই।
বন্যার পানির কড়াল গ্রাসে,
বসত বাড়ি সব,
খাদ্য বলতে নাহি কিছু,
শুধু হায়! হায়! রব।
সাত দিন সাত রাত একাধারে,
বৃষ্টির পানি হয়,
উচু নিচু সকল কিছু,
জলে ডুবে যায়।
গাছের ডালে আশ্রয় নিয়ে,
দিবস রাত্রি রই,
অনাহারী ক্ষুধার জ্বালা,
খাদ্য  কোথায় পাই।
বন্যার জলে হাঙ্গর কুমির,
মরা মনুষ খায়,
গাছের নিচে স্রোতে মাঝে,
ওরা ভেঁসে রয়।
রাসেল ভাই পার সাপের উপদ্রব,
প্রাণে লাগে ভয়,
কখন  বুঝি দংশন করে,
বাঁচার উপাই নাই।  
পুত্র কন্যার আ হাজারী,
কোন বা প্রাণে সই,
বাঁচার লাগি কাঁদি আমি,
তীর্থ কাক হই।
বিধাতার মার দুুনিয়ার বার,
চির সত্য  তাই!
লম্প ঝম্প যতই করি,
কোন লাভ নাই ।