ক্ষুধার জ্বালা বিষণ জ্বালা
ভুক্তভোগী জানে ভালো,
ধর্ম কর্ম স্বপ্ন সাধ ব্যর্থ
নিভে যায় দীপ্ত আলো।
স্ব ভাষায় কেঁদে পশু-পাখি
ক্ষুধার কথা জানায়,
ক্ষুধার জ্বালায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা
পথে ঘাটে মূর্ছা খায়।
স্বামী-সন্তান হারা নারীর
অতি কষ্টের জীবন,
জন্মের পরে যে শিশুর মা
করেছে মৃত্যু বরণ।
স্ব জল চোখে ক্রন্দন করে
দিবা রাত্রী সারাক্ষণ,
বুঝতে কেহ চায়না ভুলে
শিশু কান্নার কারণ।
যেসব অভাগার বাপ-মা
ছোট কালে যায় মরে,
মুষ্ঠখানিক খাদ্যের জন্যে
দুঃখে আ-হাজারী করে।
অনাহারী সাধক বৈষ্ণব
কষ্টে কাটায় জীবন,
অর্বাচীন পথিক জানে যে
ক্ষুধার জ্বালা কেমন।
সম্পদ হীনা নিঃস্বরা হায়!
ভিক্ষা বৃত্তি বেছে নেয়,
রিক্তের মনে তিক্ততা বেড়ে
যখন দ্বিগুণ হয়।
ক্ষুধার্ত বালক চুরি করে
একটি শুকনো রুটি,
পঙ্কিল সাগরে ডুবে গেলো
করলো বিষণ ত্রুটি।
ক্ষুধায় অস্থির হয়ে কেউ
হারাম করে আহার,
নিরুপাই হয়ে চুরি করে
পীর উলির মাজার।
ক্ষুধার তাড়ণা লেনা দেনা
কিছুই লাগে না ভালো,
কামনা বাসনা যৌন তৃষা
মৌনতায় হয় কালো।