বিষণ্ণ বনভুমির বন্য প্রান্তরে দাঁড়িয়ে
অবলোকন করেছি রক্তিম সূর্যাস্ত বহুবার,

বর্ণহীন গোধূলিকে স্পর্শ করেছি হাত বাড়িয়ে
বিরহী মনকে শান্ত করেছি জানিনা কতবার।

হে আলোকিত ভোরের স্নিগ্ধ আকাশ
কোনদিন কি দেখেছো আমায় তোমার মত?

সূর্য কিরনের নির্মল জ্বলজ্বলে হাসির আভাস
নিমিষেই মুছে দিয়েছে লুকানো অদৃশ্য ব্যাথা যত।

হে মধ্যাহ্নের নিশ্চুপ নিঃসঙ্গ পানকৌড়ি...
আমিও কি তোমার মত একা নই?

তপ্ত খরতাপে তবুও উড়াই জীবনের ঘুড়ি
বিধ্বস্ত আকাশে থাকুক কালো মেঘ যতই।

হে বিবাগী বৈরাগী বিমূর্ত সন্ধ্যাতারা...
আমিও হারিয়েছি সকল প্রেম তোর মত,

তবুও আহত মনের গুপ্ত প্রেমের ইশারা
হাতছানি দেয় ভুলে গিয়ে অপবাদ ছিল যত।


ও আমার চিরসাথী কলঙ্কিনী চন্দ্রনীলিমা...
আর কতকাল সাক্ষী হয়ে থাকবি?
এই অভিশপ্ত অপয়া রাত্রির পঙ্কিল কালিমা।


নিশাচর আমাকে তুই কভু ছেড়ে যাস না
যদিও একা করে চোলে গেছে সবাই,
তাই তোকেও আর আমার বিশ্বাস হয় না।