বিদগ্ধ চোখের করুণ চাহুনির আড়ালে
হেসে উঠে অন্তরালের কিছু সুখসৃতি,
উত্তপ্ত মরুভুমির জ্বলন্ত মরুপ্রান্তরে
একটুখানি বর্ষার অপার হাহাকার,
সিক্ত হলো মোর গভীর ক্ষতগুলো
ভিজে গেল শুকনো কষ্টগুলো বারবার।
এই প্রাণহীন বিরান বনভূমির ছবি
কত কষ্টেই না রেখেছিলাম যতনে,
জানতাম কোনদিন আসবেনা ফিরে প্রানভ্রমর
স্নিগ্ধ বাতাস বইবেনা এই সবুজ বাতায়নে।
কভু ভাবিনি আমি আমার উত্তপ্ত আকাশে
স্বস্তির কালো মেঘের হবে ঘনঘটা
জানিনা কোন অমোঘ ভালোবাসার পরশ
বদলে দেবে পুরনো পঙ্কিল জীবনটা।
এক স্বপ্নিল শহরের অচেনা অলিগলির মাঝে
খুঁজে চলেছিলাম সেই কাল্পনিক সত্ত্বাকে,
জানি পাবোনা কোনদিন তবুও সে থাকুক
এই সপ্নছায়ার অনন্ত অন্তরালে
একান্ত আপন হয়ে।
জানি আমি এই স্বপ্নময় সুখসৃতি
একদিন ছেড়ে চলে যাবে আমাকে,
হয়তো বাস্তব পৃথিবীর কঠিন আলিঙ্গন
আবারও আঁকড়ে ধরবে আমায়।
তবুও কোথাও যেন পার্থক্য থেকে যায়
যেন কেউ বলে যায় চুপিসারে
সুপ্ত হয়েই সে ধরা দেবে অভিসারে
আমার প্রতিটি হাহাকারের গভীরে।