জীবনটা এমন কেন হয়?
অতিতুচ্ছ কারণে কত বড় আঘাত মানুষের অন্তর আত্মায় রয়?
বেঁচে আছে কি করে মানুষ জগতের দাঁড়ি-পাল্লায় ?
দেহের ভেতর সহস্র ক্ষতে ক্ষত-বিক্ষত একটি হৃদয়...
রক্তক্ষরণ!
হ্যা হ্যা রক্তক্ষরণ!
তুমি কি হৃদয়ের রক্তক্ষরণ দেখতে পাচ্ছো?
অনুভব কর ঘুমন্ত এ পৃথিবী,
দেহের ভেতর একটি ঘুমন্ত লাশ,
আর ঘুমন্ত হৃদয়ের তাঁজা রক্তক্ষরণ...
আঘাতে আঘাতে পিষ্ট এ বুকের ভেতরটায়-
নেই,
তবু নেই কোন ক্ষোভ,
না কোন অভিযোগ,
আছে শুধুই দীর্ঘশ্বাস,
আছে তবু আশির্বাদ,
রক্তচোষার আহবান,
চুষে নাও, সবটুকু চুষে নাও...
বেদনার মানে জানো?
আসলে এটার কোন ব্যাখ্যা নেই।
অনন্তকাল ধরে কেউ কথা রাখেনি,
তাই বেদনারা ঘুরে বেড়াচ্ছে,
ঘুরবে, ঘুরতেই থাকবে
এরই নাম বেদনা,
হেসো না তুমি হেসো না ...
বিশ্বাস কে অনুভব করেছো?
লুকিয়ে থাকে প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের আঁড়ালে,
চোখের জলে আর অভিমানে...
পেয়েছো কি তার অস্তিত্বের খোঁজ?
খোঁজ, খুঁজতেই থাকো,
তবে নিজের অস্তিত্বটুকু মাটি চাঁপা দিয়ে!
১১/১০/১০১৪