তুই থাকিস কোথায়,
নি:শব্দের তলানিতেই কি তোর বসবাস?
তোর আঙ্গিনায় আছে কি জল আর জলজ খেলার সমাহার?
তুই কি জানিস ঐ চাঁদ-তাঁরাদের দীর্ঘতম ইতিহাস?
আকাশটাকে কি ভাল করে দেখেছিলি কখনো খানিকটা মুগ্ধতায়,
সেখানটায় কেউ একজন হাতছানি দিয়ে ডাকছে তোকে অবিরল,
একটুও কি ছুঁতে ইচ্ছে করে না ঐ নীল দিগন্তরেখা?

তোর জন্য আকাশ থেকে এক টুকরো ভেজা মেঘ আর একমুঠো রোদ্দুর নিয়ে বসে আছি,
এনেছি একগুচ্ছ লাল গোলাপ আর একটি বকুলের মালা।
তুই কি নিবি সে ফুল ?
জড়াবি তোর খোঁপার বাঁধনে আর ভরিয়ে দিবি আমার দু'কুল।

আর কি ফুল দিই তোকে বল, কি নিবি তুই?
বেলী ফুলের সুবাসিত ঘ্রাণ,
নাকি হাঁসনাহেনার অদ্ভুত মায়ায় জড়াবি প্রাণ?
কেউ কি দিয়েছিল তোকে বর্ষা ভেজা স্নিগ্ধ কদমের স্পর্শ,
অথবা এঁকেছিল খোঁপায় গাঁদাফুলের অপরুপ শিল্প?

কখনো কি ঘাঁসফুলেদের মন জুড়ানো গানে কান পেতেছিলি নীরবে?
দেখেছিস কি কখনো নীলরঙ্গা ফড়িং আর ঐ মুক্ত বিহঙ্গের ঝাঁক?
আমি তোকে শেখাবো কি করে নি:শ্বাস নিতে হয়,
দূর্বাঘাসের পতন আর দীঘির পাড়ের ঢিলের খেলায়;
আমি তোকে দেখাবো অদ্ভুত ঐ নীলিমার নীল ছুঁয়ে যাওয়া দিগন্ত রেখা।

মেঘেদের ভেলায় ভাসিয়ে তোকে নিয়ে যাবো বহুদুর আর দেব মেঘমল্লিকার ফুল;
আমার সিংহাসনে করব তোকে মহারানী, তুই কি নিবি ফুল?

রচনাকাল
১৮/০৮/২০১৩