বড় অচেনা এ পিঁচ ঢালা পথ;
দু’ধারে নেই সাঁরি সাঁরি গাছ;
চারিদিকে শুধু অট্টালিকারই সমাহার,
শুকনো পাতার পতনের শব্দ এখানে অনুপস্থিত,
আছে ল্যামপোষ্টের মৃদু আলো আর সোডিয়াম বাতির ঝলসানো রাত।
নেই সবুজের চিরচেনা শ্যামলতা,
আর বাদলের চেনা সুর রিমঝিম রিমঝিম...।
নেই ভোরের পাখিদের ঘুমভাঙ্গানি গান,
কোকিলের সুরলাহরীর সাথে চেঁনা ঝিঁঝিঁ পোঁকাদেরও খোঁজ পাওয়া দায়,
কংক্রীটে মোড়া এ শহরে জোৎস্নাভেজা রাত দর্শন কি হয়?
ধুলোয় রাঙ্গা এ শহরে কি করে হয়,
শিশিরভেজা ঘাস আর নগ্ন পায়ের মিলন?
না, এ শহর আমার হতে পারে না !
কি দিয়েছে এ শহর আমায়?
ল্যাম্পষ্টের হলদেটে আলোয় বিষাক্ত কালো উড়ন্ত ধোঁয়া,
কিছু অসামাজিক শব্দ দুষণ কিছু পরিত্যক্ত নোংরা আবর্জনা,
আধুনিকতার নামে চরম অশ্লীলতা আর ভালবাসার নামে নোংরামী...।
আর কি পেয়েছি আমি,
আর কি দিতে পেরেছে এ শহর?
না! আর নয়, আর কখনই নয়;
এ শহর নামের বন্দী মহলের বন্দীশালায়।
আমি যেতে চাই সেই মুক্ত বিহঙ্গের দেশে;
চিরচেনা সেই সবুজের বেশে।
গ্রামহারা সেই মেঠো পথ-
সূর্য্য যেথায় হেসে বেড়ায় দিগন্ত ছুঁয়ে।
যেথায় পাখিরা ডেকে চলে বিরামহীন,
জলে ফোঁটে পদ্ম, শাপলা আর ডাংগায় শিমুল, পলাশ...।
আমি ছুঁতে চাই কোমল সাদা কাঁশফুল;
নদীর জলে ঢেঁউয়ের তালে সাঁতার কাটবো আমি,
ঝঁড়ের দিনে আমের বনে;
তীব্র শীতে খেঁজুর রসে খুঁজে নেব সুখ।
ওরে এইতো সুখ, এইতো শান্তি, এইতো মুক্তি...
পারবে কি দিতে আমায় এ শহর আর ঘুনে ধরা এ নগর ?
না! এ শহর আমার নয়,
কখনও, কোনদিনও আমার নয়...।।
রচনাকাল:
০৯/০৬/২০০৯