লিখতে চাইনি এমন জীবনের গল্প কোনদিন,
যে জীবন শুরুর আগেই সমাপ্ত।
যেখানে হতাশার দীর্ঘশ্বাসে ভর করে চলে পথ,
আছে অজস্র শ্রাবণের ঢল
আর অনবরত বিপরীত স্রোতধারা।
খুব কষ্ট এ বুকের ভেতরটাতে,
যেখানে ছোট্ট কিন্তু বিশাল একটা জগত আছে।
উঁকি দিলে পাবে দেখতে সেখানকার উত্তাল ছটফটানি,
কিন্তু বুঝবে না হয়তো কিসের তাড়নায় এই বুদবুদানি আর কাঁন্নার সমাহার।।
আকাশটাকে মাঝে মাঝেই বলি,
কি করে কাঁদিস ভাই?
একটু কি শেখাবি আর কাঁদাবি আমায়?
আকাশ আমায় পারেনি শেখাতে
তাই চোঁখে নেই কোন জল, তবে হৃদয়?
অনবরত কেঁদে চলেছে সে; করছে রক্তক্ষরণ-
রক্তচোঁষার বিষাক্ত ভয়াল দাঁত দিয়ে
সে চুঁষে নিচ্ছে প্রতিটি রক্তকণিকা।
নি:শেষ হবার প্রাথমিক পাঠ সমাপ্তির পথে,
এবার শুধু উত্তীর্ণ হবার পালা
আর একখানি নষ্ট হাসির অপেক্ষা।।
ইচ্ছেগুলোকে বাক্সবন্দী করা ছাড়া আমার আর উপায় নেই,
বিষক্রিয়ার প্রভাবে তারা আজ বড় ক্লান্ত,
তাই ছোটাছুটির হাঁপিয়ে উঠা ইচ্ছেগুলোকে বিশ্রাম দিতে হবে।
শাসন করে ঘরে আনতে হবে ঘরের অবাধ্য আর বখে যাওয়া হাহাকারগুলোকে;
শেখাতে হবে শুন্যতায় বেঁচে থাকবার অসাধারণ বিস্ময়কর জাদুবিদ্যা ।।
জানি না দু:খটাকে কাছে টেনেছিলাম কিসের মোহে কোন সে ভুলে?
সহ্য করতে পারছি না আর
বড় অসহ্যরুপ ধারণ করেছে সে এখন।
মাথার ভেতরে সে বসিয়েছে কাঁমড়,
বিনা অস্ত্রপাঁচাড়ে বুকের ভেতরে দিয়েছে টান।
হয়তো একদিন,
তারা কেড়ে নেবে আমার এ ইতি-উতির জমানো সকল কথা,
আর খেলবে জীবন খেলার একদম শেষ অংশ
ছোট্ট কিন্তু নিঁখুত সমাপ্তির আঁচড়ে।।
রচনাকাল
২৪/০৮/২০১৩
দুপুর ০৩:০০ টা