একদা এক নির্জন দুপুরে
আমার বুকের ছোট্ট কিন্তু নিরাপদ স্থানে
তোমায় দিয়েছিলাম ঠাঁই।  
অনেক যতন আর দরদে
লালন করা শুরু করেছিলাম সেই থেকে;
আজও করে চলেছি
এবং করে যাবো কথা দিয়েছি।।  

তারপর সময়তো অনেকটাই অতিবাহিত হয়েছে
তার নিজস্ব নিয়ম আর গতিময়তায়।
আমিতো বদলাইনি,
আজও তোমার নিশ্বাসটুকুর স্বাদ নিচ্ছি
সেই সে দুপুরের মত আমার  আঙ্গিনায়।।

তোমাকে বলেছিলাম
আমার জোঁয়ার-ভাটার দীর্ঘ কাহিনী বিশ্বাসের বিশালতায়,
তারপর হাতটা ধরেছিলে-
বাহুতে বাহু জড়িয়েছিলে শক্ত করেই।
কখনও ভাবিনি এমন বাঁধনও ছুটে যাবে,
ছুটে যেতে পারে অচিরেই ... ।

আমিতো ভালই ছিলাম আমার আকাশের তলে;
তপ্ত রোদ আর ঘন বর্ষনের অন্তরালে।
সেখান থেকে কেন টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এলে আমায়-
যদি নাই পারো ঠাঁই দিতে তোমার আঙ্গিনায়?

আমিতো তোমায় আজও আগলে রেখেছি
আমার হৃদয়ের ছোট্ট বেষ্টনীতে।
নিজেকে ভুলে গিয়েছি
ঠেলে দিয়েছি বৃত্তের একদম বাইরে;
যাতে কোন অশরীরীর ছাঁয়া তোমায় ছুঁয়ে দিতে না পারে।

তুমি কি জানো না ,
আমার হৃদপিন্ডের প্রতিটি উত্থান পতনের ভাঁজে তোমার উপস্থিতি?
আমার ভেতরটাতো শুধুই তুমিময় জগতের বিশালতায়
আটকা পড়ে আছে অস্থিরতায়।
তুমি কি ভুলে গিয়েছো,
আমার বুকের সেই ক্ষতটার কথা?
যেটাকে তুমি মুছে দিতে চেয়েছিলে
পরম মমতা আর নিখুঁত প্রেমলীলায়... ।

সেই আমিই তোমার সর্বনাশের কারণ হব ভাবিনি কখনই;
আজ তুমি যখন বলেই দিলে আমায়-
তুমিতো সর্বনাশ আর সর্বনাশা বালাই,
বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে খুব;
তবু মেনে নিতেই হচ্ছে এবং মেনে নিলাম--
আমার জন্য তোমার সর্বনাশ,
আমিই তোমার সর্বনাশ,
অতপর আমিই সে সর্বনাশ
এবং আমিই সর্বনাশ... । ।

রচনাকাল
২৮/০৯/২০১৩
দুপুর ২:৩৫