চাই তোমার ঐ রাঙ্গা আঙ্গুলের অসম্ভব ভাললাগার পরশ,
তোমার ঐ কোমল হাত ছুঁয়ে দেবার কাঙ্খিত অধিকার।
নেব আঁচলে মুখ জঁড়িয়ে তোমার শরীরের মিষ্টি ঘ্রাণ,
আলগা করে দিব টান তোমার খোঁপার বাঁধন খুলিবার।
সাদা শাড়ী লাল পাড়ে তুমি লাল চুড়ির মাঁয়ায়,
বকুলের মালা তব খোঁপার বাঁধনে আছে জঁড়ায়ে।
টুকটুকে লাল ভেঁজা অধরের নেশা জাগানো হাসি,
হরিনী দু'চোখে ব্যাকুল করানো ডাক ভালবাসিবারে ।
বড়ই ইচ্ছে জাগে তব অধরে গভীর চুম্বন আঁকিবার,
জোগাতে পারিনে সে সাহস, ভয় হয় হারাবার।
ইচ্ছে করে জোস্না রাতে পুকুরপাড়ে করি জোস্না স্নান,
তোমার মাঝে ডুব দিয়ে সাঁতার কাটিবার।
চাই তোমার ঐ ভেঁজা শরীরের একটু ছোঁয়া,
ভিঁজবো দু'জনায় বৃষ্টিভেজা কোন এক দুপুরে।
শুধুই দু'জনায়, থাকবে না হাতে কোন ছাতা,
ভিঁজে যাবে মন, ভিঁজে যাবে চটি-জামা-মাথা।
করব কাঁদা মাখামাখি কাঁদামাটির ভেঁজা গন্ধে,
ধুয়ে যাবে সব বৃষ্টির কাছে ভেঁজা হৃদয়ের আকুতিতে ।
এক অদ্ভুত মুগ্ধতা ধরা দেবে আমার আঙ্গিনায়,
আমি চেয়ে থাকি সেই মুগ্ধতায় মুগ্ধ হইবার তরে...
রচনাকাল
২৮/০৭/২০১৩
বিকেল ৫:৪০