দক্ষিণা হাওয়া বয়ে চলেছে মৃদু-মন্দ,
শেষ বিকেলের কথাটি পড়ছে মনে-
যে বিকেলে ছিল এ হাত কারও হাতে,
বসে পাশাপাশি, গেয়ে ভালবাসার গান...
কোন এক অজানা মোহের টানে,
অচেনা এক তৃপ্তি উম্মচোনে,
ঐ যে কৃষ্ণচূঁড়া তারই আলিঙ্গনে,
হারিয়ে গিয়েছিলাম এক নিঝুম অরণ্য রেখায় ।
ভেসেছিলাম অনবরত জলখেলায়,
ভালবাসারই সমুদ্রে ডুঁব-সাঁতারে অবলিলায় ।।
তব হাতে দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূঁড়া ফুল,
বলেছিলে ভালবাসি, ভালবাসিগো তোমায়...
হঠাৎ অমাবস্যায় অচেনা এক চাঁদ আমায় ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল,
স্বপ্নের দেশে, বড়ই মধুর সে স্বপ্ন!
পেয়েছিলাম স্নিগ্ধতার কোমল পরশ...।।
এরপর, অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে,
সবকিছু সেই আগের মতোই আছে,
আজও দাঁড়িয়ে ঠায় সেই সে কৃষ্ণচূঁড়া গাছ।
শুধু নেই তোমার পরশ,
তোমার ঐ সুরের মূর্ছনা-
যতনে গাঁথা মালা তোমার ,
ছিঁড়ে গিয়েছে অগোচরেই ...
অজানা এক জলপ্রপাতে হারিয়েছি তোমায়,
ভেঙ্গেছে অবুঝ এই মন ,
হয়েছি বন্দী এই নি:স্বঙ্গতার মায়াজালে !
কৃষ্ণচূঁড়ার ডালে আজও ফুল ফোঁটে,
গেয়ে যায় কোকিল তব মিষ্ট সুরে,
শুধু সে ফুল কেউ দেয় না আমায়,
কোকিলের সুরে বলে না, ভালবাসিগো তোমায়...।।
ওহে কৃষ্ণচূঁড়া,
আমিও দাঁড়িয়ে ঠায়, আছি নিরালায়,
একাকী এই একাকীত্বের মঞ্চে...
দাও নাগো আমায় তোমারই পরশ,
সংগী কর হে বন্ধু আমায়...।।