আচ্ছা! সুকেশী এখন কেমন আছো?
আগের মতোই চুপি চুপি আমায় ভালোবাসো?
বহু বছর পার হয়েছে তাই জানতে ইচ্ছা হয়।
তোমায় নিয়ে ভাবার মত সাহস এখন আমার নাই।
এখনো কি অল্প কথায় রেগে তুমি যাও?
গুনগুনিয়ে আপন-মনে এখন কি গান গাও?
রাত জাগার ঐ স্বভাব এখনো তোমার আছে?
রং তুলি আর কাঠ পেন্সিল এখনো থাকে কাছে?
মেঘকালো ঐ কেশ দেখে এখন কি কেউ ফাসে?
ঘুম জড়ানো কন্ঠটা এখনো আমার কানে ভাসে।
এখন তুমি অনেক বড় নিজের কথা নিজেই ভাবো।
আচ্ছা! তুমি কি এখন আকাশ দেখো?
তুলোর মতো উড়ে যাওয়া মেঘের ভাষা বোঝো?
সাঁঝের বেলার রং মহলের গোধূলির ভাষা খোঁজো?
পাহাড় দেখো? ঝর্ণা দেখো? সুনীল বাবুর বই পড়ো?
চাঁদনী রাতের ছায়ার পিছে কখনো তুমি ছুটো?
আমার এসব দেখা হয় না,
তোমার মায়াতে পড়ে এখন আমি অন্ধ,
নিজের আবেগ অনুভূতি সারাক্ষণ রাখি বন্ধ।
কতদিন দেখা হয়না আকাশ,
দেখা হয়না উড়তে থাকা পাখি।
দেখা হয় না তোমায়,
দেখা হয়না তোমার মায়া ভরা আঁখি।
কতদিন দেখা হয় না পূর্ণিমার চাঁদ,
দেখা হয়না ঘুটঘুটে অমাবস্যার রাত।
ফুল পাখি ও দেখা হয়না দেখা হয়না বুনো হাঁস,
দেখা হয়না গোধূলি লগ্নের আগের সবুজ ঘাস।
এখন জানো শুধু কি মনে হয়?
এক মুহূর্তের জন্য হলেও তোমায় একবার কাছে পাই,
বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আকাশের মতো মিশে যায়।
সারাক্ষণ তোমার ছায়া মনের ভিতর আঁকি।
এখন আমি এসব নিয়েই থাকি,
থাক আজ আর নয় এখন তাহলে রাখি।