অপ্সরী! তুমি শুনতে পারছো কি? তুমি নিরাকার ছায়া দেখতে পারছো কি? কনকনে ঐ ঠাণ্ডা বাতাসে হৃদয়ে নিরব প্রকৃতির ঝলকানো ঢেউ খেলে তুমি যাও চলে যাও চলে।
থরথর হৃদয় কাঁপে জাগরণ তব আমরণ ছন্দ, নিদারুণ পিপাসা জাগে প্রেমা তব প্রকৃতি মহানন্দা। আমাবস্যার আঁধারে মাঝে মাঝে বজ্র বাজে হিমশৈল গ্রাসের কায়া,
আমি শত আঘাতে ক্ষতে ক্ষতে রচে যাই অপ্সরীর ছায়া। চিরদুখী সব একাকী অনব ঈশ্বরী কালো চুল। ভেলকি ভেলার মহীতে সব মানুষের ভিড়ে কলিতে কলিতে ভুল। অপ্সরী তুমি ভুলের মাঝে নিরাকার ছায়া হয়ে , প্রদীপের শিখা নিভু নিভু জ্বেলে তুমি যাও চলে যাও চলে।
অপ্সরী! তুমি এসব বুঝতে পারছো কি? তুমি এসব অনুভব করতে পারছো কি? আমার হৃদয়ে তুষের আগুন জ্বেলে স্বচ্ছ জলে স্নান করে তুমি যাও চলে যাও চলে।
অপ্সরী! তুমি উন্মাদ হয়ে ছুটে আসো তুমি হয়ে উঠেছো আমার কান্না, তুমি যে আমার কৃষ্ণকলির মত একই ভুলের পান্না। তুমি নিয়ম কানুন আইন ভাঙ্গো তুমি হয়ে উঠেছো আমার জীবন, তুমি আহুতি হলেই আমার হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে হবে মরণ। তুমি সেতো মনের মাঝে ফুটে থাকা এক শান্ত দিঘির পদ্ম, তোমার জন্য হৃদয় ক্ষয়ে রাতে জেগে লেখা মোর গদ্য।
অপ্সরী! তুমি আমাকে শুনতে পারছো কি? তুমি আমার এ সব কথা বুঝতে পারছো কি? শৃংখলার ওই মহা বেড়াজাল ভেঙে আমার হৃদয় চুরমার করে তুমি যাও চলে যাও চলে।