15th February 2025
Raidighi
বাবাকে মারতে মারতে টেনে হিচড়ে নিয়ে গেল বাড়ির পাশে বনে,
ধুলো-জমা পায়ের ছাপে আঁকা হলো ইতিহাসের ক্ষত।
কাঁপতে কাঁপতে বাবা জড়িয়ে ধরল ছেলের পা,
কণ্ঠে তখন শুধুই ভাঙা স্বপ্নের স্তবক—
"বাবা, আমায়... ওই ঝোপের কাছে নিয়ে চল...
আমিও আমার বাবাকে ঠিক ওখানেই ফেলে এসেছিলাম..."
সময়ের ধারালো ছুরির নিচে রক্তাক্ত ইতিহাস,
এক প্রজন্মের হাতে অন্য প্রজন্মের নিঃশ্বাস থমকে দাঁড়াল।
চোখের কোণে জমে থাকা কষ্টের জল শুষে নিলো পাথুরে মাটি,
ছেলের মুঠো শক্ত—সময় কি এত সহজে শেকল খুলে দেয়?
তার আঙুলে জমে থাকা ঘৃণার রক্ত ধীরে ধীরে শুকিয়ে এলো।
"বাবা, তুইও কি এমন একদিন ফিরবি এই পথে?
আমার হাত দুটো কাঁপে, প্রাণ ছুটে যেতে চায়,
তোর বুকে আশীর্বাদ রেখে মরতে ইচ্ছে হয়!"
বনের নরম মাটি জানে কত কান্না লুকিয়ে এই ঝোপের পাতায়।
একদিন ছেলেও দাঁড়াবে, আরেক ছেলের পায়ের নিচে,
ফিরবে এই বৃত্ত, সময় তার হিসাব মিলিয়ে দেবে।
বাবা থেকে ছেলে, ছেলে থেকে নতজানু ভবিষ্যৎ—
একই ঝোপ, একই মাটি, একই নিঃশেষ বংশধারা,
একই কষ্টের ইতিহাসের অন্ধকার দিগন্তসন্ধ্যা!