কি ভাবে পারো তুমি
আল-আমিন রানা
*========*
আমার ই ভুলে তুমি করেছিলে অভিমান!
তোমার ভয়ে দূরে আসলেও, রাখতে চেয়েছি তোমার মান।
একাকীত্বে হৃদয়কে তুমি যতোই চাও বুঝাতে,
নীরবে ঠিকই ব্যথিত হও তুমি তোমারই মনের আঘাতে।
বিশ্বাস করো অই দিনের তব সামান্য অবজ্ঞাতে,
অনেক করেছি চেষ্টা নিজেকে গুটিয়ে রাখতে।
দূর হতে বারংবার শুধুই ভেবেছি আমি,
কতটুকু পাষাণে পারলে নিজেকে আড়ালে ঢাকতে।
মেহেদীর অফিসে এসে ফোন দিলে তোমার কণ্ঠ শুনে
তোমার অজান্তেই হারিয়ে গিয়েছিলাম উল্লাসের গগনে।
নামাজের সময় ছিলো তখন, নামাজ শেষ করেই -
পাগলের মত ছুটে যাওয়া,হাও-মাও করে কাঁদব তোমার আলিঙ্গনে।
তোমার ছটফট করা বুক আর চোখের চাহনিতে,
একবার সামনে যাই পরন্তু আবার ভয়ে পিছিয়ে যাই।
সেদিন সন্ধায় তোমার ইচ্ছাতেই হোক কিংবা অনিচ্ছায়-
যখন ফোন দিলে আমায় ভেবেছি হয়তো আমাকে প্রয়োজন!
জানো বাবাই ভাবলেই অবাক এতো ধৈর্য কোথায় পেলে,
কেমন করে রয়েছো তুমি এত যাতনা সয্য করে।
কিভাবে পারো পরিবার ও বন্ধুমহলে এত কিছু সামলাতে!
এত দূরত্ব হতে এসে তুমি চলে যাও প্রতি দিন।
কখনো দেখিনি তো তোমায় অগোছালো,
সত্যিই তুমি তোমার সাঝে মিথ্যে রঙে রঙিন,
সব ভুলে গেলেও সংসার রেখেছো সতত সজীব!
নোভার কপাল পোরা- কনকের হৃদয় ভাংচুর
বন্ধুমহলে সকলের কাছে তুমি এক অসুর।
এভাবেই হয়তো লেখা তোমার জীবন কাহিনী!
আমি শুধুই অবাক হয়ে দেখি তোমার চোখের চাহুনি।