সদ্য বৈকালে হাস্যোজ্জ্বল চাহনি নিয়ে
গিয়েছিলাম ওই প্রান্ত বিমুখে, রম্যরচয়িতার খোজে।
সে মহিরাণী তো এলো না রচনার বুলি নিয়ে।
আমার রচনা অর্ধাংশে তেই আটকে গেল,কথা ছিল আধোআধো মিলিয়ে হবে পুর্ণ।
নীরবচিত্তে অশান্ত মন নিয়ে তেপান্তরে হাটায় ব্যাস্ত এই মন।
সে মহিরানী তো এলো না রচনার বুলি নিয়ে।
চোখগুলো আমার তাকিয়ে রয় ওই নদীর পারে,
তিনটি তরণী ছুটছে দ্বৈরথ সসীম মায়া নিয়ে।
তরণী আমায় টানছে তারি সমুখে ছুতে তাহার
দাড়
এই মায়া তুচ্ছ লাগিলো রম্যরচয়িতার নিখোজে।
সে মহীরানী তো এলো না রচনার বুলি নিয়ে।
আকাশে উদিত হইলো বিধু, ঋক্ষ উভয়ের উজ্জলতা নিয়ে, দ্বৈরথ ছুটছে নীরদ আপন স্বরে।
মধুমাখা এই দৃশ্য , অনুভুতির এই চিত্র,
শুধুই দিচ্ছে উকি আমার এই চিত্তে।
বিষাদের ছোয়ায় তো আমি পুরছি, জ্বলছে অনল
এই চিত্তপটে।
সে মহীরানী তো এলো না রচনার বুলি নিয়ে।
প্রত্যুষে শিশিরের সিক্ত ঘ্রানে মাতিছে ঘাসের আবছায়, আকাশে দিবাকর দিচ্ছে উকি করিছে আমায় নেমন্তন।
তবে আত্মমগ্ন হয়ে রইলো ওই রচনার পানে।
বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে,পাখিদের ওই কলতানে,ফুলের ওই সুগন্ধি তে ধরনী মাতিছে হর্ষে, বিষাদের ওই নীরে হচ্ছি আমি নিমেষ।
সে মহীরানী তো এলো না রচনার বুলি নিয়ে।
অপূর্ণ রচনা থাকি