নির্ঘুম ছত্রিশ ঘন্টার অযাচিত চিত্তে জাগ্রত করে পঁচিশ ফেব্রুয়ারীর নৃশংস হত্যালীলা,
অবাক দেশবাসীর মনের প্রয়াস
কি হচ্ছে পিলখানার কেন্দ্রীয় দরবারে?
ক্ষোভ, বিক্ষোভ, আন্দোলন নাকি মিটিং?
না-কি দাবি আদায়ের কালো থাবা?
এটাকে তো দাবি বলা যায় না।
কি যুক্তি আছে সেখানে, কেনই বা বলবে?
কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতা, বুদ্ধিজীবীর কৌতুহল
আকাশে, বাতাসে মেঘের গর্জনে কি ধ্বনিতেছে?
অকস্মাৎ যেন মুষলধারে বর্ষন নেমে আসে।
ভেসে যায় দেশ মাতৃকার নিরীহ সন্তান।
সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী বিশ্বকে অবাক করে দেয়,
নিয়ে যায় স্মৃতিময় পঁচিশে মার্চে।
ব্রিগেডিয়ার, কর্নেল, মেজর,ক্যাপ্টেন কে বা তাঁরা?
কাদের জন্য সর্বস্তরের মাঝে তিনদিনের শোক?
বিস্ময় অন্তরে, যুগযুগান্তে, বিলুপ্ত চিত্তে, অদৃশ্যচক্রে
গগনে পবনে, অস্ফুট তিমিরে, বাকহীন কন্ঠে, সীমাহীন হৃদয়ে,
একবাক্যে উচ্চারণ তাঁরা যে বজ্রমুষ্ঠিধর মুক্তিকামী কর্ণধার।
তাঁরা যে সবুজ শ্যামলের একই গর্ভের সহোদর ভাই।
প্রানহীন জীবাশ্ম খনিতে শোনিত জমাট বেঁধেছে।
অনির্বান ভোগ বহ্নি দীপ্ত দাবানল চারিদিকে ছুটেছে,
কাফনে, কবরে, অশ্রুহীন নয়নে, অক্ষীর সমীপে
আহাজারি, রোনাজারি, বাতাস ভারী করেছে লাশের গন্ধে।
সকরুণ দৃশ্যে বিধাতার আঁধারে সমর্পন লগ্নে
জানাই শ্রদ্ধা, জানাই ভালোবাসা, জানিয়ে দিলাম বিদায়ী আত্মার মাগফিরাত।