সন্ধ্যার ধুধু অন্ধকারে নিমজ্জিত করে
চলেগেলে তুমি শুধু স্মৃতি বাহুডোরে।
জীবনের রং বদলিয়ে ছায়াকে সঙ্গী করে
নক্ষত্রের মতো দূর নীলিমায় উকি দিলে।

তোমার ভালোবাসায় যে কত আবেগ ছিলো!
সেখানে তৈরী করা যেত আবেগের মানচিত্র,
ভূগোলোকে ছড়িয়ে দেওয়া যেত আবেগের পরশ।

তোমার অনুভূতি ছিলো শুকানো পাতার মর্মর ধ্বণি,
বহমান নদীর স্রোতে ভাসা শেওলা।
ছায়াপথের অজস্র তারকারাজি খুঁজে ফিরে
গোলাপের পরশ মাখা শত স্নিগ্ধ মুখখানি।

হিজল বনের রিমঝিম কলতান ছুটে চল
বসন্তের মৃদু ঝিরঝির ছন্দে।

তোমার ছায়ার স্পর্শ শিহরিত করে
হৃদয়ের প্রতিটি অনুভূতির মুহূর্ত।
আমি হেরে যায়নি,
পরাজিত হয়েছে এক মহাকাব্যিক অবহেলা।
সেখানে ছিল নির্দয়তার কষাঘাত।

এখন শুধু জানতে ইচ্ছে করে-
ভালোবাসার প্রতিটি রক্ত বিন্দু যেখানে নিরবে, নিভৃতে, একাকিত্ব কেঁদে মরে,
সেখানে অলীক কল্পনার আবেগী পরশ দিয়ে
কতখানি সুখী হতে পেরেছো?