গ্রাম্যলতিকার নূপুর পরা পা দেখে
একটি কবিতার বাসনা জেগেছিল ।
আষাঢ়ের ঘোর বৃষ্টিতে ছড়িয়ে রাখা—সেই পায়ে
বড় আহ্লাদ নিয়ে লুটিয়ে পড়ত সাগরকন্যার হাসি;
আমার কাছে চেয়েছিলো:
তাকে শাসন করেই—যেন লিখি কয়েকটি লাইন ।

কিন্তু, পদ্মপাতার ‘পর বসে থাকা ডানপিটে লক্ষ্মীপেঁচাটি
বিকেলের রোদ নামতেই আয়নার সামনে এসে বসলো ।
আমি জানতাম—আয়নার ওপারে কিছুই নেই,
যা দেখছি—এপারেই সব । আমার বড় প্রয়োজনে—
আজ,  আবার যখন সেই গ্রামে ফিরে গিয়েছিলাম ।
ভাঙা কিছু কাঁচের টুকরা; হয়তো সেই আয়নারই কাঁচ;
তার ওপার থেকে শুনতে পেলাম:
“দরকার বলতে কিছু নেই ।
যা’ আপনি লাগাবেন দরকারে;—তাই-ই লাগবে”!
ভালো করে চেয়ে দেখলাম:
কাঁচের টুকরাগুলোয়—সেই লতিকারই মুখ;
জোড়া দিলেও ভেঙে যায়,—
সশব্দে চুড়ি ভাঙার আওয়াজ ওঠে!
সে সেজেছে পুরোদস্তুর—সংসারী রমণীর মতন;
খোপায় ফুল! দরজায় কোনো পুরুষ-কন্ঠ শোনা গেল;
অকস্মাৎ মিলিয়ে গেল কাঁচের ওপার থেকে তার অবয়ব ।
তাকে ডেকেছে তার দরকারী লোক;—তাই-ই চলে গেল ।
সামনে পড়ে আছে অন্ধকার—ভাঙা আয়না!
আমার কোনোদিন ছিলনা দরকার;
সুধু ভাবের ঘোরেই,—রূপের প্রেমে পড়েছিলাম;
বাসনাবিলাসের সুযোগ আর নিলাম কই!


১০.০৪.১৬
ঢাকা-১২০৭