আয় হায়, পৃথিবীর কি বিলিরুবিন বেড়ে গেল!
—স্বগতঃ হেসে উঠি!
আশে-পাশে তাকাই,—
কেউ দেখলো কি আমার পাগলামি!
স্বশব্দে আবারও হেসে উঠি।
সম্বিত ফিরে পাই সহাস্যে!
পুরোদমে পাগলামিতেই পেয়ে বসেছে আমায়!
মন চাইছে, উদোম হয়ে গড়াই এখানে,—
লাফাই, দৌড়ে দৌড়ে হাঁপিয়ে নিঃশ্বাস নিই
এই কৃশাঙ্গীর হলুদাভ শরীরে!
এ আমার প্রথম প্রেম নয়!
কততম প্রেমে পড়া:
তাও ভাববার নেই সময়!
নিউরো-সাইন্স কোথায়!
প্রেম—এমনভাবে মস্তিষ্কের ভেতরে থেকে
তার দুরভিসন্ধিমূলক আচরণ শুরু করে,
আগে জানা ছিলনা!
সাইকোলজির কাঁথা-পু’রে বলছি:
এমন প্রেম মানুষের রক্তে ভাইরাল হয়ে যায়!
যেমন তন্বীর একহারা অঙ্গ দেখে
সাতচল্লিশের পুরুষ,
সতেরোর মত কিশোরের আচরণ করে।
সতেরোর তরুণ হয় আসক্তে অসুস্থ;
গারদে পু’রে রাখা যায়না এ ভাবাবেগ!
বিস্তৃত চোখে ক্ষেতের পর ক্ষেত—
সরষের ফুল ফুটে রয়েছে,
যেন হলুদের গুড়ি ছড়ানো—
বিরাট একখানা থালা;
সৌন্দ্যর্য্যের পরী নেমে আসবে এখনি;
রাখবে ওই থালায় তার দীর্ঘকায় পদাঙ্ক!
তার বরণে এ আয়োজন।
ইচ্ছে করছে লুটিয়ে প’ড়ে,
ছিন্ন-ভিন্ন ক’রে ফেলি সব!
এত প্রেম, এত সৌন্দর্য্য,
আক্রান্ত করছে আমায়!
জানিনা নষ্ট ক’রে কী সুখ!
সবাই-ই তো ষোঢ়শী কুমারী খোঁজে;
সতীত্বের ছিন্ন রক্তে
মরদ যেমন বন্য হয়ে ওঠে!
এ কী ভালোলাগার আতিশয্য!
পাশবিক অনুভূতি কিনা বলতে পারিনা!
সুন্দরের সুখে পর্যবসিত সবাই তো হ’তে চায়!
আমি অন্ধ হ’য়ে গেছি।
অন্ধ এ চোখে কান্নার ফোয়ারা নামে,—
যখন মনে পড়ে নদীগুলোর কথা:
অমন যৌবনবতীর গর্ভ বিলীন হয়েছে চরে!
এ দেশের নদীগুলোরে কি কোন কবি,—
“মা” ব’লে ডাকেনি কোনদিন!?
২.১.১৬
ফরিদপুর
ঢাকা আসার পথে, গাড়িতে।