অর্ধোণ্মিলিত-গোধুলীর ন্যায়,  ওই ঈগল-রঙা-চোখ;
নতুন প্রাণের উন্মাদনা জাগায়’ ও স্বর্ণালী-আলোক।
সঞ্চারিছে অগ্নিক্ষয়, আগ্নেয়গিরী সম,
যতবার দেখি' থম খেয়ে যাই মনোরমা নমঃ নমঃ!
আমি পাতালে, সিন্ধুতে, ঘুরিনি' খুঁজিনি, পাইনি অমন রূপ;
আজ, সেই থেকে জ্বলে, যেই দেখেছি, সেই সে রূপের ধুপ!
গন্ধ নেই এ বিবর্ণ বুক মোর; স্বাদে-আহ্লাদে তুমি,
উদাসী এমন দিনগুলো যায়, হায় মনোলভা-ফুলভূমি!

পৃথিবীর গান অমরত্বে লভে, যার মূর্ছনা ছুঁয়ে,
তুমি তো সে নারী, নান্দনিক তুমি, সংসারী-প্রলয়ে;
বহুকাল এই প্রাণের দুয়ারে ছিলনা তো কোন কথা,
উদাসীর বুকে নির্জর আজি, ও চোখের শীতলতা!
নারী তুমি, সংসারী তুমি, তোমারই তো ওই চোখ,
গান বাঁজুক আর না-শুনুক কেউ, তুমিই সে সুর-লোক।

অমৃত তুমি, লেহণে-গাহণে, পূজনীয় তুমি দেবী!
ভৈরবী তোমার রূপের অহংকার ছড়ায় যে সূরভী:
ছুঁয়ে দেখিনি, গিলেছি ও চোখ, আশ মেটেনি তবু।
ও পদ-কোকনদে, চেয়ে চেয়ে দেখি, স্বর্গ নামে বা কভু!

গীতি ও কাব্য সুরের আঁখর, শিল্পে শিল্পে যদি,
সংকট লাগে ওই চোখ নিয়ে, অবাক হবোনা সতী!
চোখের কাব্য নয় এ যে সুধু, শিল্পের উত্তরসূরী।
আমি কাব্যকার, কাব্যলক্ষ্মী তুমি; এ তো  মোদেরই শিল্পপুরি!

রাত্রি-কাব্যে’ গভীর নিশিথ, জাগবে যে আকুল চোখ!
সে তো তোমারই ওই ও সিক্ত-পক্ষ কবিতায় অপলক।
শাসনে-বারণে ইশারা হবে সদা, যেই গোধুলীর ক্ষণ,
তুমিই তো সে চোখের মালিক, রূপ সে অবর্ণন!
বীরের তুমি রমণ-কামনা, যৌবনবতী রাণী!
উৎসাহ তুমি হতাশ প্রেমিকের! আমিই তো সব জানি।

কাব্যের তুমি প্রাণোদ্মাদনা, কাব্যকারের লক্ষ্মী!
এই, কাব্যখানি-ই, তোমার ওই চোখের’ প্রেম-আসক্তে সাক্ষী।

০১.০১.১৬
পাইকপাড়া ।