আজ, কতকাল পর'
তোমায় ভালোবাসতে এলাম,
বলতে পারো কি গৌরি চন্দ্র মল্লিকা!
আজও ভালোবাসা জাগে!
তবু, বদলে যেতে চাই’
আমি বদলে যাবো।
বদলে গিয়ে বাঁচতে চাই।

শব্দেরা’ বর্ণেরা, যখন অলংকার-উৎপ্রেক্ষা হয়;
একদমই সাধারণ জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা
প্রাণের মত,
সামুদ্রিক পরিবর্তন ঘটুক আমার জীবনে;
আজও এই প্রাণে সাধ জাগে।
একঘেয়ে হ’য়ে যাওয়া তোমাদের জীবনে,
আমি বদলে যেতে চাই;
বদলে গিয়ে বাঁচতে চাই কবিতার মত!
কবিতায় যেমন শব্দ-বর্ণের সামুদ্রিক পরিবর্তন ঘটে,
আমার চক্ষু মুক্তো-দানা হয়ে যাক!
আর শরীর--- সমুদ্রের প্রবালের মত!
অস্থি-মজ্জায় পরিবর্তন ঘটুক।
মৃতদেহ সমুদ্র-তলে যেমন’
দিনে-দিনে মুক্তা, ঝিনুক, প্রবালের দেহ পায়!
অতি সাধারণ কিছু বর্ণমালা যেমন
নান্দনিক হয়ে ওঠে কবিতায়,
আমার শরীরে সামুদ্রিক পরিবর্তন ঘটুক,
আমি কবিতা হয়ে যাই!
তোমার শরীরে ভালোবাসার অন্য-স্বাদ নিয়ে আসবো,
তোমাদের চোখে অন্য সৌন্দর্য্যের লোভ নিয়ে আসবো,
আমায় ছুঁয়ে দেখতে তোমার হাতে
অন্য জগতের টান পড়বে;
আমার শরীর ঝিনুক হবে,
চক্ষুগুলো মণি-মুক্তা হবে,
আমার চেহারায় অন্য সুন্দর্শনের সম্মোহন থাকবে;
কবিতা হবো আমি;
পরকীয়ায় জড়াবে আরও নারী-পুরুষ,
তা আমি চাইনা ।

আজকের মত প্রতিদিনই,
আমিই সুধু তোমায় ভালোবাসতে আসবো!
আমি বদলে গিয়ে বাঁচতে চাই!
এই মানুষে ডুবে খেই হারাও মল্লিকা!
সেই আমিতে নতুন প্রেম পাবেনা
একঘেয়ে হ'য়ে যাওয়ার মত
কিছুই,
সুধু আমার সম্মোহন ছাড়া!

বদলে বদলে প্রতিদিনই বাঁচবো আমি;
কবিতা  হবো;
তোমায় ভালোবাসতে আসবো!
যে হাত বাড়াবে তুমি
অলংকার হবো তোমার,
যে দিকে মোড় নিবে,
সুখের প্রবাল-গালিচা হয়ে যাবো,
যে দুঃখ ছোঁবে তোমায়,
কঙ্কাল হয়ে যাবো তোমার দেহে!
কোন পথে হাঁটবে তুমি?
বদলে বদলে হাত ধরবো তোমার!
তোমায় ভালোবাসতে নারী,
এ আমার পুরুষালী অঙ্গিকার;
তুমি অন্য পুরুষে আকৃষ্ট হ'য়োনা সুধু!...

২৭.১২.১৫
পাইকপাড়া