কবিভক্ত “চাঁদ’কে” কল্পনা করতে বললাম:
সে জানেনা কল্পনা করতে;
ওটা নাকি সুধু কবিরই কাজ;
অথবা যা-ই-হোক,
সে কল্পনা করতে পারবে না।

অগত্যা আমারই সুধু কল্পনা করতে হয়;
সে কবিতা পড়বে’
আর জানতে চায়:
কিসে আমার জন্মের অহংকার!

তার রূপে মুগ্ধ আমি’ বলতে বসলাম।
সে জানলো:
আমার জন্ম-মুখ মনে পড়ায়,
আত্মহত্যা-নিবিষ্ট কেউ একজন'
মুখ থেকে বিষের বোতল
ছুড়ে ফেলেছিল, আবার বাঁচবে বলে।
সে-ও প্রেমিকা’ নারী;
“চাঁদ” আৎকে উঠলো ঠিক তোমারই মতন;
তুমি যেমন সংশয়ে পড়বে
এই লেখা প’ড়ে।

কবি-জন্ম' কি সুদর্শন যুবা-মুখের কারণেই হোক,
এই মুখই কেউ চায়:
বুলেট-থেরাপি দিয়ে ঝাঝরা করতে।
...এত আদর তার'
অনাদরেই ফলে গেলো,
আমি তা'রে ভালোবাসতে চাইনি বলে;
আমার বুকের রক্তই কখনো কারো
সুখ-অসুখের কারণ হ’য়ে গেছে।
....কিন্তু আমি জানতাম:
কুমারীর দু’ফোটা ছলকে ওঠা রক্তে
মানুষের যত কৌতুহল থাকে...

২৩.১২.১৫